বাসস
  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫২

গোপালগঞ্জে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শতভাগ সফল

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): জেলায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৭ শিশুকে খাওয়ানো হয়েছে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন গোপালগঞ্জে শতভাগ সফল হয়েছে।
জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন থেকে  জেলার ৫ উপজেলার ১ হাজার ৭০৯ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ হাজার ১১৮ টি শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল (১ লাখ আই.ইউ) ও ১২ থেকে ৫৯ বয়সী ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯ টি শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল (২ লাখ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়।   
এই ক্যাম্পইন সফল করতে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীদের মধ্যে এইচএ ২১১ জন, সিএইচসিপি ১৮২ জন ও এফডাব্লিউএ ২৪৬ জন ভিটামিন ‘এ” প্লাস ক্যাম্পেইন কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কাজটি তত্ত্বাবধান করেন প্রথম শ্রেণির ২১৬ জন তত্ত্বাবধায়ক। 
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ শহরের থানাপাড়ার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে সোমবার সকালে ভিটমিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।  দিনব্যাপী চলে এই ক্যাম্পেইন। 
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীবাকর বিশ্বাস বলেন, গোপালগঞ্জে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৭ শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমরা লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন থেকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে পেরেছি। এটি গোপালগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অন্যতম সাফল্য।  
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস)  বলেন, জেলার ৫ উপজেলার ৬৭ টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করা হয়। শিশুদের রাতকানা রোগ ১ শাতাংশের নীচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। এই বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অপুষ্টি জনিত মৃত্যুহার রোধ করা হচ্ছে এই ক্যাম্পেইনের মূখ্য উদ্দেশ্য।    ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বরাবর এই জেলায় সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। তাই  আমাদের জেলায় শিশুদের রাতাকানা রোগের প্রবণতা ও অপুষ্টি জনিত মৃত্যু নেই বললেই চলে।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান বলেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন  গোপালগঞ্জে শতভাগ সফল হয়েছে। জেলার সাংবাদিক, তত্ত্বাবধায়ক, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠকর্মীদের সহযোগিতায় এটি সাফল্য মন্ডিত হয়েছে। সেই সাথে জাতীয় এই কর্মসূচিতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সহযোগিতা  করেছে । তাই তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।