বাসস
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৩

ই-ভূমি সেবায় স্বস্তি ও আস্থা ফিরেছে নড়িয়া উপজেলা ভূমি মালিকদের

॥ এস এম মজিবুর রহমান ॥
শরীয়তপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলার নড়িয়া উপজেলা ভূমি অফিসের ই-সেবার মধ্যদিয়ে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সরাসরি অফিসে উপস্থিত না  হয়ে অনলাইনরে জমির নামখারিজ, নামজারি, বিভিন্ন ফি জমা, রশিদ উত্তোলনসহ জমি সংক্রান্ত সকল সেবাই মোবাইল অপশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারছেন সেবা প্রত্যাশীরা। ফলে সেবা গ্রহীতারা মুক্তি পেয়েছে দীর্ঘ দিনের মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকে। সেবা গ্রহীতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করছেন, এটি কেবল সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির কারণেই আর এতে করে শুধু ভূমি সেবা গ্রহণ সহজই হয়নি, ভূমি সংরক্ষণেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
নড়িয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) মো: পারভেজ বাসস’কে বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের কারণে ইউনিয়ন ও উপজেলা অফিসগুলোতে কাগজ পত্রে নাম খারিজ, সরকারি ফিস জমা, নামজারি শুনানীসহ সকল ভূমি সেবা গ্রহণকারীরা ঘরে বসেই জমি সংক্রান্ত সকল সেবাই সশরীরে উপস্থিত না হয়েও অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে পারছেন। এতে করে সাধারণ মানুষের নিত্য দিনের উপার্জনের কাজ নষ্ট না করে অবসর সময়েই সম্পন্ন করতে পারছেন। ফলে নিজের আয়-রোজগার ঠিক রেখে স্বল্প খরচে অনলাইনের মাধ্যমেই প্রত্যাশিত সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। আর ই-ভূমি সেবার মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশীদের শুধু হয়রানিই কমেনি মুক্তি পেয়েছেন দীর্ঘ দিনের মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকে। ভূমি সেবার এ পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের যেমন আস্থা ফিরে এসেছে তেমনি বেড়েছে ভূমিকর আদায়ের পরিমাণও। আমরা ভূমি সেবার এ স্বস্তিকে আস্থায় পরিণত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছি। নড়িয়া উপজেলায় ই-ভূমি সেবা অফিসে ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা ৫ হাজার ২৪৩টি নাম জারি ও ১ হাজার ৮শ’ টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছি।
নড়িয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মাহমুদুর রহমান হারিছ বলেন, ই-ভূমি সেবা চালু হওয়ার পর সশরীরে অফিসে না যেয়েও মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন, কর জমা ও রশিদ সংগ্রহ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি নাম জারির জন্য গত ৫ জানুয়ারি ২০২৩ আবেদন করে ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ নাম জারির কাগজ হাতে পেয়েছি। আমার দিনের কোন কাজ নষ্ট না করেও অতিরিক্ত খরচ ব্যতিরেকেই ঘরে বসেই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। যা আগে কল্পনাও করা যেত না। আর এটি কেবল সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু হওয়ার কারণেই।
জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান বাসস’কে বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাইলেশন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকেই নানা পেশার সেবা গ্রহীতারা দ্রুত সেবা পেয়ে আসছেন। তার মধ্যে ভূমি ই-সেবা অন্যতম। এ সেক্টরের প্রতি আগে ভূমি মালিকদের অসন্তোষ ছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও খরচ সাশ্রয় হওয়ায় অসন্তোষ এখন স্বস্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা অনলাইনে কঠিন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সরকারের কাংখিত সেবা নিশ্চিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছি। আমরা আশা করছি সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, সকল ভূমি সেবা গ্রহণকারীরাই সমস্বরে বলবে ডিজিটাল ভূমি সেবা আমাদের অধিকার সংরক্ষণে এক মাইল ফলক।