বাসস
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:২২

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলা সদরে স্ত্রীর চাচাতো বোনকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভায়রাকে হত্যার দায়ে মো. ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন  কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। 
একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। 
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ইয়াসিন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ দেলিয়া গ্রামের মৃত আতিক উল্যার ছেলে। সে পেশায় কাপড়ের ফেরীওয়ালা। সে পলাতক রয়েছে। 
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয় আবু ছায়েদ নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার এক বছর পর ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আবু ছায়েদ তাদের প্রতিবেশি খোরশেদ আলমের বাড়িতে দিনমজুরির কাজ করতে যায়। বেলা ১১ টার দিকে ওই বাড়িতে ফেরী করে কাপড় বিক্রি করতে আসে আবু ছায়েদের চাচাতো ভায়রা মো. ইয়াছিন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইয়াছিন ভায়রা আবু ছায়েদকে গালমন্দ শুরু করে। এ সময় দুইজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। এক পর্যায়ে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঠ দিয়ে আবু ছায়েদের মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই রাতেই আবু ছায়েদের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী নিহত আবু ছায়েদের ছোটভাই শাহ আলম বাদি হয়ে ইয়াছিনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ আগস্ট আসামী ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল পুলিশ। 
ভিকটিম আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলমের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর ছিলেন।