শিরোনাম
চাঁদপুর, ১ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় সব ধরণের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
জেলা সদরের বড় স্টেশন মেঘনার মোহনায় সচেতনতায় আজ এক শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এ সময় জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকার নিবন্ধিত ৪৪ হাজার জেলে মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকবে। বিপরীতে জেলেদেরকে সরকার জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল দিবে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, জাটকা রক্ষায় পদ্মা ও মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের অংশগ্রহণে এই প্রচার কাজ চালাচ্ছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ। জনবহুল এলাকা ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে মৎস্য বিভাগ থেকে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার ও পোস্টার।
চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর, কল্যাণপুর, তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার, শহরের বড় স্টেশন টিলাবাড়ী, পুরাণ বাজার রনাগোয়াল ও দোকানঘর এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে জেলেরা তাদের নৌকায় ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছেন। আবার অনেকে তাদের নৌকা এবং নৌকার ইঞ্জিন মেরামত করছেন।
সদরের তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার জেলে ইব্রাহিম মিয়া জানান, সরকার নদীতে অভিযান দিলে মাছ ধরতে নদীতে নামেন না। কিন্তু জেলার বাহির থেকে অন্য জেলেরা এসে জাটকা ধরে নিয়ে যায়। এই কাজটি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান তিনি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, সারা বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম। ইলিশ দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। তাই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের প্রথমেই জাটকা রক্ষা করতে হবে। অভয়াশ্রম এলাকায় আমাদের জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স দিন ও রাত কাজ করবে। আর জেলেদের জন্য সরকার যে খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করেছে, তার মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের খাদ্য সহায়তা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি জেলেরা জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকবে। কারণ জাটকা তাদেরই সম্পদ। এই জাটকা বড় হয়ে ইলিশে রূপান্তরিত হবে, এতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।