বাসস
  ০২ মার্চ ২০২৩, ১৮:৪৭

চট্টগ্রামে পঞ্চম জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপিত

চট্টগ্রাম, ২ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : ‘ভোটার হব নিয়ম মেনে, ভোট দিব যোগ্যজনে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামে উদ্যাপিত হয়েছে ৫ম জাতীয় ভোটার দিবস।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় সার্কিট হাউজ চত্বর থেকে বেলুন উড়িয়ে ও এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন কার্যক্রমের শুরু করা হয়।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামন। এছাড়াও এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
র‌্যালি শেষে আলোচনা সাভায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান উপস্থিত সকলকে ভোটার হালনাগাদের নিয়মাবলী সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, সারাদেশে ২০ মে ২০২২ হতে ৪টি ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে এবং ইতোপূর্বে যারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ৩ বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, যাদের জন্ম ১ জানুযারি ২০০৫ বা তার পূর্বে, তারা ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার পূর্বে তারা ২ জানুয়ারি ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। এছাড়াও যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। উল্লেখ্য এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে হিজড়াদের হিজড়া হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে। এসময় তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের নাগরিকদের হাতে স্মার্ট আইডি কার্ড তুলে দিতে, যে কোন প্রকার সহযোগীতা করতে আমরা প্রস্তুত।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের চেতনা কি, নাগরিক হিসেবে আমরা নিজেদের কোথায় নিতে চাই- সেটা নির্ভর করে নির্বাচনে আমরা কাকে নির্বাচন করছি। গণতান্ত্রিক নিয়মে একজন জেলা প্রশাসাক কিংবা রাস্তার পাশের পান বিক্রেতার ভোটের মূল্য সমান। সুতরাং আমরা নিজেরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সকল শ্রেণি পেশার নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। যেন আমরা সকলে মিলে মনের খুশিমত, একজন যোগ্য মানুষকেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করি।