শিরোনাম
যশোর, ৬ মার্চ, ২০২৩ (বাসস): দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় সরিষা কর্তন শুরু শুরু হয়েছে।চলতি ২০২২-২০২৩ রবি মৌসুমে যশোর কৃষি জোনের আওতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ১৮হাজার ৮৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।এ কৃষি জোনের আওতায় যশোর,ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।কৃষকরা এ অঞ্চলের মাঠ থেকে পাকা সরিষা কাটা শুরু করেছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,এ ৬ জেলায় ৫৪হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৭২হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে।আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,যশোর জেলায় চলতি মৌসুমে ১৩হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও দ্বিগুণ বেড়ে ২৪ হাজার ৮৪৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।ঝিনাইদহ জেলায় ৯হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১১হাজার ১১২ হেক্টর জমিতে।মাগুরা জেলায় ১৫হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১৬হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে।কুষ্টিয়া জেলায় ৯হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১১হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে।চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ৩হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে এবং মেহেরপুর জেলায় ৪হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৫হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মো: আবু হোসেন বলেন,এ অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ কৃষির জন্য খুবই ইতিবাচক।জমির উর্বরতা ধরে রাখার জন্য শস্য নিবিড়তায় কৃষককে সরিষা আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ভোজ্য তেলের সংকট কাটিয়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে এ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় চাষাবাদ করা উচ্চফলনশীল টরি-৭,১৪ ও বারি-১৪,১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা। সরিষা চাষে সফলতার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক কৃষকদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে।তিনি আরো জানান আবহাওয়া ভালো থাকায় চলতি বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা