শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় দেশের পাটখাতের উন্নয়নের ধারাকে বেগবান করা সম্ভব হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাট জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা পালন করবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী আজ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত পাটখাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের চাহিদাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর নেই। তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন। এতে পাট বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে। এখন গবেষণার মাধ্যমে পাটের আরো মূল্য সংযোজিত স্মার্ট পণ্য উৎপাদনের পথ সুগম হবে। এজন্য পাটের গবেষকদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে 'বর্ষপণ্য ২০২৩ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। পাটের উৎপানের দিকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তেমনি পাটপণ্য উৎপাদনে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জুট ভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’র বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, সম্প্রসারণে কাজ করেছে। জেডিপিসি পাটপণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক ও স্মার্ট বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
চারকোলের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা পাঠকাঠি দিয়ে চারকোল বানিয়ে তা রফতানি করে ডলার আয় করছি। পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নুূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, বিশ্বে আমাদের পাটের বাজার অনেক বড়। পরিবেশ আন্দোলন আমাদের সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ আন্দোলন যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, সেখানে পাটকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানীকারকদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হবে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে।
মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি দাবি করতে চাই, পাটকে বহুমুখী কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হোক।
‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পাট দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও পাটপণ্যের প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এ বছর ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাট সংশ্লিষ্ট ৯ সংগঠনকেও সম্মাননা দেয়া হয়েছে।