শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৯ মার্চ ২০২৩ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে চট্টগ্রামের উন্নয়নে চলমান ব্যাপক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রব, যানজটসহ সব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসণসহ যে প্রকল্পগুলো করছে তা দ্রুত শেষ না হওয়ায় একদিকে যানজট বাড়ছে অন্যদিকে প্রকল্পগুলোতে জমে থাকা পানিতে বাড়ছে মশা। আবার, ওয়াসা হাটহাজারী সড়কসহ যত্রতত্র খনন করে রাস্তা নষ্ট করে ফেলছে। অন্যদিকে চসিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পর পুলিশ সেখানে মনিটরিং না করায় আবারো দখল হয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকৃত ভূমি।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কোরিয়া ভ্রমণ করে দেখেছি সেখানে নগরীর মেয়র সিটি গভর্নমেন্টের সর্বেসর্বা হওয়ায় সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় আছে। ফলে, উন্নয়ন প্রকল্পের সর্বোচ্চ সুফল ঘরে তুলতে পারছে তারা। চট্টগ্রামেও যদি সিটি কর্পোরেশনকে এভাবে শক্তিশালী করা যায় তাহলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সর্বোচ্চ সুফল ঘরে তোলা সম্ভব।
উন্নয়ন কার্যক্রমে গণমাধ্যমের মতামতকে প্রাধান্য দেন জানিয়ে মেয়র বলেন, আমার দিন শুরু হয় সংবাদপত্র পড়ে৷ কোনো গণমাধ্যম আমার সমালোচনা করলেও আমি সে সমালোচনা থেকে শিখে নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করি৷ এমনকি মিডিয়ায় প্রকাশিত অনেক সংবাদের প্রেক্ষিতে অনেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি৷ আমি চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রামের মেয়র হওয়ায় আমরা আনন্দিত। জলাবদ্ধতা, যানজট, পয়োঃনিস্কাষণ, মশাসহ যেসব সমস্যা আছে তা গণমাধ্যম তুলে ধরছে। এ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানে মেয়র কাজ করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এসময় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহরম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল এবং নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল।
চসিকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাজী নুরুল আমিন, মো. আবদুস সালাম মাসুম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ প্রমুখ।