শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ, ১৬ মার্চ, ২০২৩ (বাসস): জেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী কে হত্যার দায়ে স্বামী চাঁন মিয়াকে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামি চাঁন মিয়ার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলার অপর আসামি মুসা মিয়ার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের রঘুনন্দনপুর গ্রামের জোসনা বেগমের দ্বিতীয় বিবাহ হয় একই এলাকার চাঁন মিয়ার সঙ্গে। প্রায় আট বছরের দাম্পত্য জীবনে স্বামী চাঁন মিয়া প্রায়ই যৌতুকের জন্য স্ত্রী জোসনা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে স্বামী চাঁন মিয়া স্ত্রী জোসনা বেগমকে জমি বিক্রি করে টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু স্ত্রী জোসনা বেগম রাজী না হওয়ায় নির্যাতন চরমে পৌঁছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২১ মে জোসনা বেগম ও তার বড় বোন আনোয়ারা বেগম তাদের এক আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ারপথে বৌলাই ইউনিয়নের নাকভাঙ্গা এলাকায় তাদের উপর হামলা চালান চাঁন মিয়া। তার উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে জোসনা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার বড়বোন আনোয়ারা বেগম গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আলাল মিয়া বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর এসআই মিজানুর রহমান এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আইনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলাটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রউফ।