শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ১৯ মার্চ ২০২৩ (বাসস) : জেলায় আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
পরে জানাযা শেষে পৌর শহরের মরহুমের প্রতিষ্ঠিত মহিউস সুন্নাহ জালালিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও জানাযার আগে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল-মাহমুদ স্বপন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহের গতকাল শনিবার দুপুর পৌঁনে ২ টায় জেলা শহরে নিজ বাসভবন পিংকি প্লাজায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম আবু তাহেরের মেঝো ছেলে এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবু তাহের ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ভারতের রাজনগর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। পরে আর্টিলারি গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে মুহুরী নদী, কোম্পানীগঞ্জ, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও রায়পুরে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৭২-৭৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক, ১৯৭৬ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮০ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৪ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, ১৯৮৭ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯০ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, মুজিব আদর্শের এই সৈনিকের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ কালো ব্যাচ ধারন, তিনদিনের শোক পালন ও সকল দলীয় কর্মকান্ড স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।