বাসস
  ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৩

নাটোরের উত্তরা গণভবন হ্রদে মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্যোগ

নাটোর, ২২ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : নাটোরের উত্তরা গণভবনের ঐতিহ্যবাহী হ্রদে পানি এবং মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই লক্ষ্যে হ্রদের পানি ও মাছ পর্যবেক্ষণ শেষে বিশেষজ্ঞ মতামত পাঠিয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের কাছে দিক নির্দেশনা চেয়েছে জেলা প্রশাসন।
উত্তরা গণভবনের চারপাশ জুড়ে ১৪ একরের পরিখা বা হ্রদের গভীর কালো জল দর্শনার্থীদের মনে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে। পানির উপরিভাগে অতিকায় মাছের চলাচল অনেক সময়ই চোখে পড়ে। মৎস্য সপ্তাহগুলোতে এই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাছ আহরণ করা হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে পানির গুণাগুন যাচাই এবং মাছের অবস্থান ও আকার সম্পর্কে ধারণা পেতে হ্রদের একাংশে জাল টানা হয়। জেলা প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ সাম্প্রতিক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
পানি, জলজ উদ্ভিদ এবং মাছ পর্যবেক্ষণ করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ একটি প্রস্তাবনা তৈরী করেন।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, হ্রদের নীচে প্রচুর শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ জন্মেছে-যা দ্রুত অপসারণ করা উচিৎ।
নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন বলেন, উত্তরা গণভবনের চারপাশের হ্রদ এই আঙিনার সৌন্দর্যকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে। হ্রদের মাছকে উপলক্ষ করে দূর্লভ অসংখ্য পাখির আবাস গড়ে উঠেছে গণভবনে।
নাটোর জজকোর্টের পিপি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে গণভবনের হ্রদে নিয়মিত মাছের পোনা অবমুক্ত এবং মাছ বিক্রি করা হলে হ্রদের পানি ও মাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক এবং উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, উত্তরা গণভবনে হ্রদের পানি এবং মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দিক নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে বিশেষজ্ঞ মতামতসহ চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা পেলে গুরুত্বের সাথে পরবর্ত্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।