শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২২ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : পবিত্র রমজান মাসে জনভোগান্তি হ্রাসে সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ ও বহদ্দারহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিক্শা চলাচল বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোারেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ বুধবার চসিকের নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ২৬ তম সাধারণ সভায় মেয়র এ বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন সেবা সংস্থাকে দিক-নির্দেশনা দেন।সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ পরিবারের সাথে ইফতার করতে চায় আর ঈদের পোষাক কিনতে স্বচ্ছন্দে চলতে চায়। এজন্য রোজার মাস ও ঈদের সময় সড়কে যাতে যানজট না হয় সে বিষয়ে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য সেবা সংস্থার একযোগে কাজ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর এবং প্রকৌশলীরা ওয়ার্ডের সড়কগুলোতে আলোকায়ন নিশ্চিত করবেন। আর হকারদের অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। রোজায় বাজারগুলোর রাস্তা যাতে ব্যবহারযোগ্য থাকে এবং নালাগুলো যাতে পরিস্কার থাকে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মেয়র নগরীর নিউমার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে হকারদের মাধ্যমে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা দোকান উচ্ছেদ, বহদ্দারহাট থেকে বারিকবিল্ডিং পর্যন্ত রিক্শা চলাচল বন্ধ, নগরীর ফøাইওভারের নিচে এবং অন্যান্য উপযুক্ত স্থানে সড়কসমূহে পে-পার্কিং চালুকরণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
সভায় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দসহ চসিকের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
সেবা সংস্থগুলোর মধ্যে কার্যক্রমের সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী চসিকের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এই প্রকল্পসহ চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে চট্টগ্রামের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। তবে, সেবা সংস্থাগুলো যদি চসিকের সাথে সমন্বয় না করলে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল হুমকির মুখে পড়বে।’
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে টানেল থেকে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করায় চট্টগ্রামের সন্তান এবং মেয়র হিসেবে চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’ মেয়র জানান, গৃহকর নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে আপিলের মাধ্যমে কর নেয়া হচ্ছে। জনগণ গৃহকর দিয়ে হাসিমুখে ঘরে ফিরছে।
সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব খালেদ মাহমুদসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।