শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : চট্টগ্রামে নিখোঁজ দুই কন্যাশিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে দুই জনই অপহৃত হয়নি বলে পুলিশের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) জানিয়েছে, খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের কন্যা জান্নাত আক্তার গত ২৭ মার্চ তার ভাই শাহাদাত হোসেনের সাথে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অন্যদিকে, হালিশহর পূর্ব রামপুরার মো. আলমগীরের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশাকে ২৮ মার্চ তার মা পারভীন আক্তার বকা দিলে সে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। উভয় ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
দু’টি ঘটনাকে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমার নেতৃত্বে ২ এপ্রিল গভীর রাতে খুলশী মাস্টার লেইন অগ্রদূত ক্লাবের পাশ^বর্তী এলাকার বাসিন্দা রেল কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাত আক্তারকে (৯) উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ জানতে পারে, জান্নাতের মা মারা গেছেন। এতিম এ শিশুকে তার বাবা ও পরিবারের অন্যদের না জানিয়ে খালাতো বোন সাজু আক্তার লালন-পালনের জন্য রেল কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসায় দিয়ে এসেছিলেন।
পুলিশি তথ্যে জানা যায়, নিখোঁজ অপর শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা (৯) পড়ালেখা না করায় মা পারভীন আক্তার গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় বকা দেন। এরপর মাইশা অভিমান করে হালিশহরের পূর্ব রামপুরা এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরদিন মা হালিশহর থানায় জিডি করেন। শিশু মাইশাকে উদ্ধারের জন্য সিএমপির হালিশহর থানা, নগর গোয়েন্দা শাখা, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পিবিআই’র একাধিক টিম উদ্ধার অভিযানে নামে। আভিযানিক দল ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থলের আশেপাশে তল্লাশি, নগরের বিভিন্ন থানায় মাইকিং এবং বাস, রেলস্টেশন, শপিংমলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টারিং করে। নগরীর মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আমবাগান, পলোগ্রাউন্ডসহ আশেপাশের মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গতকাল ২ এপ্রিল হালিশহর বড়পুকুর পাড়ের শাহাব মিয়ার ভাড়া ঘরের মোহাম্মদ টিপুর বাসা থেকে মাইশাকে উদ্ধার করা হয়। টিপু (৩১) আনোয়ারা থানার খাসখামা ফুলগাজী বাড়ির মৃত মো. কামালের পুত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে টিপু জানান, গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি পুরাতন রেল স্টেশনে মেয়েটিকে বসে থাকতে দেখেন। তিনিও কাছাকাছি বসেছিলেন। রাত নয়টার দিকে তিনি চলে আসার সময় তার পিছু নেয় শিশু মাইশা। এ সময় পরিচয় জিজ্ঞেস করেও কিছুই জানতে পারেননি টিপু। আশপাশে কোনো পরিচিত বা আত্মীয়-স্বজন না পেয়ে রেলস্টেশন অনিরাপদ মনে করে মাইশাকে বাসায় নিয়ে আসেন তিনি। পরবর্তীতে ওই শিশুর পরিবারের খোঁজ করেও ব্যর্থ হন।