শিরোনাম
জয়পুরহাট, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : আবহাওয়া ভালো থাকায় খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা গম কাটা মাড়াইয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার জেলায় ২ হাজার ৩ শ ৭৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হেক্টর বেশি। বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূিচর ফলে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলা মিলে চলতি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে ২ হাজার ৩ শ ৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। স্থান ীয় কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম চালায়। ফলে অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হেক্টর বেশি। এতে ১০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন গমের উৎপাদন হবে বলে আশা করেছে কৃষি বিভাগ। জেলায় এবার খরা সহিষ্ণু ও রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক উচ্চ ফলণশীল বারি ৩২ ও ৩৩ জাতের গম বেশি চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও সরকারের কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় গমের আবাদ বেশি হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলায় এবার ৩ হাজার কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের গম চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রণোদনার বীজ ও সার দিয়ে এবার দেড় বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নন্দইল গ্রামের গম চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে এবার তিন বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি বলেও জানান তিনি। বর্তমান বাজারে এক হাজার ৭শ থেকে এক হাজার ৯শ পর্যন্ত মণ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান, গম ব্যবসায়ী সুশীল চন্দ্র ও দীলিপ সেন। গম মাড়াইয়ের পর জমা হওয়া কাষ্টি গুলো উন্নত মানের জ্বালাণী হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। রতনপুর গ্রামের গম চাষি প্রসাদ চন্দ্র বলেন, গম মাড়াই করতে কষ্টের জন্য আবাদে কৃষকদের মাঝে অনীহা দেখা দিলেও এখন মাড়াই যন্ত্র আসার কারণে আবার গম চাষ করতে শুরু করেছে কৃষকরা বলে মন্তব্য করেন তিনি। বর্ষা-বৃষ্টির মধ্যে গম মাড়াই সমস্যা হয়। সে কারণে বর্তমানে জেলার কৃষকরা গম মাড়াইয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, মাটির গুণাগুণে জয়পুরহাটের মাটি বেলে দো’ আশ হওয়ায় গম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। কৃষকদের মাঝে গম চাষে আগ্রহও বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। ফলে জয়পুরহাটে গমের চাষ বাড়ছে বলে বাসস’কে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় জেলায় কৃষি উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।