বাসস
  ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২২

শরীয়তপুরে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের দেশীয় পোশাক বেশি পছন্দ

শরীয়তপুর, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে জমে উঠেছে শরীয়তপুরের ঈদ বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক কেনাবেচায় এখন ব্যস্ত। বিশ^ অর্থনৈতিক মন্দার কারনে ব্যবসায়ীদের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি পোশাকের দাম একটু বেশি, তাই এবার ক্রেতারা দেশীয় পোশাকের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। তবে তরুণ-তরুণীদের ক্ষেত্রে চিত্র ভিন্ন। তারা দেশি-বিদেশি উভয় পোশাকেই আকৃষ্ট। 
গত এক সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন বয়সের ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে ঈদ বাজার। নিজেদের পছন্দের জিনিসটি কিনতে তারা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মার্কেট। এই মূহুর্তে সবচাইতে বেশি ভীড় জমেছে শাড়ি, লুঙ্গি, কসমেটিকস, শিশুদের পোশাকের দোকান ও জুতা-সেন্ডেলের দোকানে। 
ক্রেতাদের চাহিদা পুরণ করতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাকসহ নানা পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত থাকছেন বিক্রেতারা। 
জেলা সদরের সৌদিয়ান মার্কেট, ডুবাই প্লাজা, স্পেন প্লাজা, ইটালি প্লাজাসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকান ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর। জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড়ে সরগরম ঈদ বাজার।
শরীয়তপুর পালং বাজারের পাদুকা ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির জানান, চায়না থেকে পাদুকা আমদানি খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের কাছ থেকেও আমাদের গত ঈদের তুলনায় বেশি দাম রাখতে হ”েচ্ছ বলে বিক্রি গত ঈদের তুলনায় এবার এখন পর্যন্ত বিক্রি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম। তবে আশা করছি দাম একটু বেশি হলেও শেষ পর্যন্ত ক্রেতা তার পছন্দের জুতা-সেন্ডেল কিনবেই।
একই বাজারের কসমেটিকস দোকানের মালিক শহীদ খান বলেন, এবছর কসমেটিকস আমদানি খরচ ক্ষেত্র বিশেষে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এবারের ঈদ উপলক্ষে এখনো পর্যন্ত গতবারের তুলনায় বেচা-বিক্রি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম।
শরীয়তপুর পৌর মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী সজীব খান বলেন, এবারও গতবারের মতো মহিলা ক্রেতাদেরই ভিড় বেশী। বর্তমানে বেচা-বিক্রি একটু কম হলেও আগামী সপ্তাহে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।