শিরোনাম
॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জেলায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার । এবার দেশীয় শাড়ি, থ্রীপিস ও পাঞ্জাবীর চাহিদা বেশি। দেশীয় বুটিকস, হাতে কাজ করা শাড়ি, থ্রীপিস ও পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতে ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাশাপাশি ভারতীয় শাড়ির চাহিদাও রয়েছে। তবে ভ্যাপসা গরমকে মাথায় রেখে আরামদায়ক শাড়ি খুঁজছেন ক্রেতারা। বরিশালে ঈদ উপলক্ষে দেশীয় শাড়ি, থ্রি-পিস ও পাঞ্জাবী কিনতে বিপণী-বিতানগুলোতে বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে।
বিতানগুলোতে সরোজমিনে দেখাগেছে, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রং-বেরং-এর শাড়ি ও থ্রী-পিস কিনতে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। একই সাথে পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতেও ভিড় লক্ষনীয়।
নগরীর চক-বাজার বিপণী-বিতানগুলোতে দেশীয় শাড়ি ক্রয় করতে আসা গৃহিনী মিসেস হাবিবুর রহমান ও জেসমিন আক্তার ও রুমানা ফেরদৌস জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল-ফিতরকে কেন্দ্র করে আনন্দের কোন কমতি নেই তাদের মাঝে। তারপরও দাম সহনীয় আর পছন্দের শাড়ি কিনতে পেড়ে খুশি তারা।
তারা আরো জানান, বাঙালীর যে কোন উৎসবে নারীর প্রথম পছন্দ শাড়ি ও থ্রি-পিস। আর ঈদ উপলক্ষে তো শাড়ি বা থ্রি-পিস চাই-ই-চাই। ঈদে শাড়ি আর পাঞ্জাবীর আবেদন কোন দিন শেষ হয়ে যাবে না। এবারের ঈদেও এ দুইটি পোশাকই প্রাধান্য পেয়েছে।
নগরীর চকবাজার আড়ং ফ্যাশনে পাঞ্জাবী কিনতে আসা মামুনুর রশিদ ও সাইদুর রহমান বলেন, ঈদে পাঞ্জাবী কেনেন না, এমন পুরুষ নেই। পাঞ্জাবীর ডিজাইন, ফেব্রিক আর কাটে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। সুতি পাঞ্জাবীর চাহিদাই সব চেয়ে বেশি। এক রঙা পাঞ্জাবীর গলায় ও হাতায় ডিজাইন দেখে আব্বার জন্য দুটি পাঞ্জাবী কিনেছি। এখন আমার জন্য দেখছি।
এ বিষয়ে বরিশাল নগরীর অধরা বস্ত্রালয় ও শাড়ি মিউজিয়ামের শাড়ি থ্রিপিস বিক্রেতা মো: মজিবর এবং আরমান জানান, এবছর ঈদুল-ফিতরে দেশীয় তৈরী জামদানী ও তাতেঁর শাড়ি নারীদের বেশী পছন্দ। দেশীয় তৈরি জামদানী ও তাতেঁর শাড়ির কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদে হরেক রকমের শাড়ির সমাগম ঘটিয়েছেন তারা। তবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর শাড়ির থেকে এবছর দেশীয় শাড়ির চাহিদা বেশী। আর দাম সহনীয় বলে বেচা-কেনাও বেশ ভালো ।
শাড়ি বিক্রেতারা আরো জানান, পাইকারী ও খুচরা শাড়ি বিক্রেতারা এবছর ভারত থেকে গুজরাটী শিল্ক, বাহা শিল্ক, মনিপুরি কাতান, মনিপুরি সুতি, পিউর শীল্ক, জর্জেট ও নেটের উপর কাজ করা শাড়ি আমদানী করেছেন। তবে এবারে বেশীর-ভাগ ক্রেতারে পছন্দে রয়েছে ঢাকাই জামদানী, টাঙ্গাইল জমদানী, তাঁতের শাড়ি, সফট শিল্ক আর জুট জামদানী। এগুলোর দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এবছর ঈদে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে বেশী। তাদের দোকানে ৫০ হাজার টাকা দামের শাড়িও রয়েছে। শাড়ি ব্যাবসায়ীদের ধারনা এবারের ঈদে তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী শাড়ি আমদানি করছেন। বিক্রিও ভালো। পাশাপাশি ক্রেতার সমাগমে ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রেতাদের । দম ফেলানোর সময় নেই তাদের। সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে বিকিকিনি। ।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ পরিচালক দিলারা খানম বলেন, আমাদের দেশের ঈদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হচ্ছে পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবী ও নারীদের জন্য শাড়ি। শত শত বছর ধরে শাড়িতে মিশে রয়েছে বাঙালিয়ানার ছাপ। উৎসবে, ঘরে-বাইরে যে কোন বয়সের নারী যেন শাড়িতেই অতুলনীয়।
তিনি বলেন, শাড়ি এমন একটি পোশাক, যেটি কৈশোর পেরোনো বাড়ির ছোট মেয়েটি থেকে শুরু করে দাদি-নানি সবার পছন্দ।