বাসস
  ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈরি আবহাওয়ার আশঙ্কায় ধান কাটতে প্রশাসনের মাইকিং

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস): চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো পাঁকা ধান দ্রুত সময়ের মধ্যে কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের উদ্দেশে মাইকিং করছে জেলার আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। আগামীকাল ১ মে থেকে ভারি বৃষ্টিপাতসহ কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কায় এই মাইকিং করে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদেরকে সচেতন করা হচ্ছে।
মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে- এই উপজেলায় যাদের জমির ৮০ শতাংশ ধান পেঁকে গেছে তারা যেন দ্রুত ধান কেটে ফেলে। এই উপজেলায় এরই মধ্যে পাকা ধান কাটা শুরু হলেও মাইকিং করার পর কাঁচা-পাকা ধানও কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে ধান কাটা শুরু হওয়ায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষক আবুল কাসেম জানান, চলমি মৌসুমে তিনি ৮ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করেন। এর মধ্যে ৩ বিঘা জমির ধান কেটেছেন। বাকি ধান মোটামুটি পেঁকেছে। আর কিছুদিন হলে শতভাগ পেঁকে যাবে। তবে মাইকিং শোনার পর শনিবার ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে।
কৃষক রশিদ মিয়া বলেন, এ মৌসুমে ধার দেনা করে ৬ বিঘা জমি আবাদ করেছি। জমির ধান প্রায় পেঁকে গেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে ধান কাটার চিন্তা রয়েছে। মাইকিং শুনার পর ২ বিঘা জমির ধান কেটে ফেলেছি।
এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, আগামীকাল ১ মে থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস ও আছে। এ কারণে পাকা ধানের বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় যাদের জমির ৮০ শতাংশ ধান পেঁকেছে তারা যেন দ্রুত ধান কেটে ফেলে। তিনি বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা শতভাগ পাঁকিয়ে ধান কাটতে চাচ্ছেন। কিন্তু ভারি বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় আর শিলা বৃষ্টি হলে মাঠে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ জন্য কৃষকদের সচেতন করতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।