শিরোনাম
মুন্সীগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস): শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌ-রুট থেকে সরিয়ে নেয়া হল ফেরি। ঈদকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল পারাপারে এ নৌ-রুটে ফেরি চালু করেছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডাব্লিউটিসি)।
গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল মাত্র দু’দিন চলার পর ২০ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচলের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মোটরসাইকেলের ঢল সামাল দেয়াসহ বাইকারদের দুভোর্গ লাঘব হয়।
এদিকে এই ঘাটে ফেরির প্রয়োজন না থাকায় ১৩ দিনের মাথায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে এই রুটের বিশেষ সার্ভিসের জন্য আনা দুই ফেরিই। রোববার বেলা ১১টার দিকে সর্বশেষ কলমিলতা নামের ফেরিটি সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে আবারো একরকম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেলো শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি ফেরি সার্ভিস।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন জানান, ঈদের সময় মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য কলমিলতা ও কুঞ্জলতা নামে দু’টি ফেরি এখানে আনা হয়েছিল। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ফেরি দু’টি দিয়ে কয়েক হাজার মোটরসাইকেল পারাপার করা হয়। তারপরও সামাল দেয়া কঠিন হয়। গ্রীস্মের প্রখর রোদে বাইকাররা খোলা ফেরিতে করেই বিশাল পদ্মা পাড়ি দেয়। আর ফেরির জন্য অপেক্ষায়ও থাকতে হয় লম্বা সময়। কারণ ৩ ঘন্টা পর-পর ফেরি ছাড়ার টাইম নির্ধারণ করা হয়। আর ফেরি ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১৫০ টাকা। পদ্মা পারে সময় লাগে প্রায় সোয়া ঘন্টা। আর ২০ এপ্রিল হতে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। আর টোল দিতে হয় ১০০ টাকা। তাই ঘাটে ফেরি থাকলেও সেতু চালুর পর ঈদ যাত্রা কিংবা ফিরতি যাত্রায় কোন যানবাহন ভুল করেও ফেরি ঘাটে আসেনি।
তাই শিমুলিয়া ও মাঝিকান্দি ঘাট হয়ে যায় যানবাহন শূন্য। দু’দিন ভীষণ ব্যস্ত থাকা ফেরি দুটি অসল হয়ে পড়ে। তাই রোববার ফেরি কলমিলতা এবং এর আগে গেল ২৭ এপ্রিল ফেরি কুঞ্জলতা সরিয়ে নেয়া হয়।
জামাল হোসেন জানান, ফেরি কুঞ্জলতা আরিচা-কাজিরহাট রুটে এবং কলমিলতা ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে আবার যুক্ত হয়েছে।
গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু পর কতিপয় বাইকারের বিশৃঙ্খল আচরণ এবং বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যুতে জরুরি সিদ্ধান্তে ২৭ জুন থেকে সেতুতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। এ কারণেই এবারের ঈদের সময় মোটর সাইকেল পারাপারে গুরুত্ব দিয়ে সরকার পদ্মা সেতুর নীচ দিয়ে নতুন একটি নৌ-চ্যানেলে বিশেষ ফেরি সার্ভিস চালু করে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৯ মাস ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর পদ্মা সেতুতে শর্ত সাপেক্ষে বাইক চলাচল শুরু হয়। আর তাই সেতুর সড়ক পথের পুরোপুরি ফল ভোগ করছে দক্ষিণে ২১ জেলার মানুষ।