বাসস
  ০২ মে ২০২৩, ০৯:৪৯

জয়পুরহাট রেলস্টেশনে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে রাজস্ব আয় বেড়েছে

॥ শাহাদুল ইসলাম সাজু ॥
জয়পুরহাট, ২ মে, ২০২৩ (বাসস): জয়পুরহাট রেলস্টেশনে নানা মূখী সংস্কার কাজ সম্পন্ন করায় যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে কয়েক গুণ। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাত্রীর টিকিটে আয় হয়েছে  ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং মালামাল তোলা ও খালাস খাতে ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪০ টাকা।  
জয়পুরহাট রেলস্টেশন মাস্টার  হাবিবুর রহমান জানান, জয়পুরহাট রেলষ্টেশন এ এলাকার একটি যাত্রী সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জয়পুরহাট ষ্টেশন থেকে আপ এবং ডাউনে ১১ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে বর্তমানে। এরমধ্যে রয়েছে  ঢাকা গামী আপ-ডাউন মিলে ৫টি ট্রেন, বিভাগীয় শহর রাজশাহী গামী ৩টি ট্রেন ও খুলনা গামী ৩টি আন্তঃনগর ট্রেন। গড়ে প্রতি মাসে জয়পুরহাট রেলষ্টেশনে ৩৫ হাজার যাত্রী ওঠা নামা করে থাকেন। এতে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়।  জয়পুরহাট রেলষ্টেশনের এক হিসেবে দেখা গেছে ২০২২ সালের জানুয়ারি  মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাত্রীর টিকিট বিক্রিতে আয় হয়েছে  ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং মালামাল তোলা ও খালাস খাতে ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪০ টাকা।  যা বিগত সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান  সরকারের আমলে জয়পুরহাট ষ্টেশনের আধুনিকায়ন করাসহ  ট্রেন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় যাত্রী সেবার মান অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে । 
জয়পুরহাট রেলস্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান,  জয়পুরহাট ষ্টেশনের  কিছু সমস্যার সমাধান করা গেলে রাজস্ব আয় আরও বাড়ানো সম্ভব। এগুলোর মধ্যে রয়েছে  যাত্রী বের হওয়ার রাস্তা ডবল করা, মাঝখানের প্লাটফর্মের সঙ্গে ওভার ব্রীজের সংযোগ ও যাত্রী ছাউনী  দরকার, আসন সংখ্যা বাড়ানো ও ইয়ার্ড লাইনের সংস্কার প্রয়োজন। এ ছাড়াও ৭ জন লোকবলের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ৪ জন। ষ্টেশন মাস্টার নিজেও  একই সঙ্গে তিনটি রেলষ্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান।  জয়পুরহাট ষ্টেশনের মূল দায়িত্ব হলেও অতিরিক্ত হিসেবে  তিলকপুর ষ্টেশন ও সান্তাহার ষ্টেশনের মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব করছেন।