শিরোনাম
ঢাকা, ২ মে, ২০২৩ (বাসস): ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের ফলে বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ এবং ভারতে ৮ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’
আজ রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংযোগের সুযোগ ব্যবহার করার জন্য ভারত বাংলাদেশের বন্দর, অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং সড়ক যোগাযোগে আরও বেশি প্রবেশাধিকার পেতে চায়।
তিনি বলেন, নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই ভারতে ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারতীয় বন্দর, রেলপথ এবং বিমানবন্দর ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে আমাদের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে আমাদের সংযোগ উন্নত করতে চাই। আমরা ভারতের সুনির্দিষ্ট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন, বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরগুলি ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করতে ট্রানজিট সুবিধা গ্রহন করার জন্য বাংলাদেশকে উৎসাহিত করছি।’
হাইকমিশনার বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দরকে বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভার্মা আরও উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের এই দুটি বন্দরের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এবং পণ্য আনা-নেয়া করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন খরচ কমিয়ে দেবে।’
হাইকমিশনার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের ভৌগোলিক নৈকট্য সুবিধা পারস্পরিক কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, সহজভাবে ব্যবসা করা ও জীবনযাত্রার সহজতার জন্য আরও ভাল সংযোগ প্রয়োজন, যা ভারতের জন্য প্রধান অগ্রাধিকার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয় এর চেয়ারপারসন ড. আতিউর রহমান।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণার উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বিদ্যমান বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে প্রতি বছর ১৯.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬২.৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বর্তমান ৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ১৮.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে।