শিরোনাম
শরীয়তপুর, ৪ মে, ২০২৩ (বাসস) : নড়িয়া উপজেলার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
শ্রমিক সংকট ও ঝড়-বাদলের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহবানে নড়িয়া উপজেলা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই ধান কাটা কর্মসূচী পালন করছে।
আজ বৃহস্পতিবার নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের বটতলার কৃষক হারুন হাওলাদার ও মোক্তারেরচর ইউনিয়নের কৃষক মমিন সরদারের জমির পাকা ধান কেটে তাদের ঘরে তুলে দেয়া হয়। ধান কাটায় চামটা ইউনিয়নে ছাত্রলীগের ৬৫ জন ও মোক্তারেরচরে ৪৩ জন নেতাকর্মী অংশ নেয়।
নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের আহবানে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুপ্রেরণায় আমরা ধান কাটা কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। পুরো নড়িয়া উপজেলার কৃষকদেরকেই জানানো হয়েছে যে ধান কাটা নিয়ে কোন সংকট তৈরী হলে আমাদেরকে ফোন দিলেই আমরা ছাত্রলীগ চলে যাবো কৃষকের ক্ষেতে। আর এই ভরা মৌসুমে শ্রমিক সংকট ও ঝড় বাদলের হাত থেকে কৃষকের পরিশ্রমে ফলানো ধানের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেটিই আমাদের লক্ষ্য।’
চামটা ইউনিয়নের কৃষক হারুন হাওলাদার বলেন, ‘গতকাল একটু বৃষ্টির কারনে আমার ৮৪ শতক জমির পাকা ধান হেলে পড়লে শ্রমিক খুঁজে না পাওয়ায় সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব ভাইকে ফোন দেই। আজ সকালে তিনি ৬৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে আমার ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন। তাদের (ছাত্রলীগের) প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা যদি ধান কেটে দিয়ে না যেত, তাহলে আমার অনেক ধান নষ্ট হয়ে যেত। আমি ধন্যবাদ জানাই নির্দেশদাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অণূপ্রেরণা দেয়া প্রিয় নেতা এনামুল হক শামীম ভাইকেও।’
নড়িয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান খালাসী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছাত্রলীগের প্রতি নির্দেশ ও আমাদের প্রিয় নেতা এনামুল হক শামীম ভাইয়ের অনুপ্ররেণায় নড়িয়ার ছাত্রলীগ উজ্জীবিত। যে
কোন সংকট মোকাবেলায় আমরা একতাবদ্ধ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রিয় নেতা এনামুল হক শামীম ভাইয়ের যে কোন নির্দেশ ও আহবানে সাড়া দিতে সদা প্রস্তুত আছি এবং থাকবো।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবার বোরো মৌসুমে নড়িয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৯শ’ ৮০ হেক্টরে রোরো আবাদের লক্ষমাত্রা থাকলেও লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৩শ’ ৫৮ হেক্টর জমিতে।ধান পাকা শুরু হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা আওয়ামী লীগের সহযোগী, অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সোনালী পাঁকা ধান ঘরে তুলছেন।