বাসস
  ০৬ মে ২০২৩, ১৭:৩১

শেখ হাসিনা নদী ভাঙনের স্থায়ী প্রতিকারের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর, ৬ মে, ২০২৩ (বাসস) : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙনের স্থায়ী প্রতিকারের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাজিরার প্রস্তাবিত স্থায়ী নদী-রক্ষা বাঁধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্ল্যানিং কমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় তার সাথে ছিলেন। 
‘প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আমাদেরকে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে  রেখেছেন’- উল্লেখ করে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৪ বছরের  ধারাবাহিক শাসনামলে সারাদেশে নদী-ভাঙন এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। 
তিনি এ সময় বলেন, ‘জাজিরার ভাঙন প্রবণ ৮ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার স্থায়ী নদীরক্ষা বাঁধের কাজ আমি বর্তমান মেয়াদের মন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই শুরু করব।  শেখ হাসিনার সরকারের আগে দেশের সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর নদী ভাঙন এলাকা এখন মাত্র সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে  নেমে এসেছে। ইনশাল্লাহ আগামীতে আবারও শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে, এই সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর নদী ভাঙন এলাকাকেও শূন্যে নামিয়ে আনব আমরা। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে- তখন থাকবে না আর কোন নদী ভাঙন। পুরো সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর নদী পাড়ই পর্যায়ক্রমে হয়ে উঠবে নদী ভিত্তিক পর্যটন এলাকা। দেশের মানুষ তখন ভুলে যাবে নদী ভাঙনের দুঃস্বপ্নের গল্প।
শামীম  বলেন, ‘জাজিরায় পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী রক্ষা বাঁধ এখন সময়ের ব্যাপার। জাজিরায় পদ্মা পাড়ের ৮ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রোধে এক হাজার ৫শ’ ৭৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে স্থায়ী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষ হয়েছে। এটি একনেকে ওঠা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। আশা করছি, এবার বর্ষ মৌসুমের পরই আমরা জাজিরার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু করতে পারব। তাহলে নাওডোবার পদ্মা সেতুর নদী শাসন এলাকা থেকে চাঁদপুরের মোহনা পর্যন্ত পদ্মার ভাঙন থেকে শরীয়তপুরবাসী স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে। 
উপমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে নড়িয়ার পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হওয়ায় পদ্মা পাড়ের ১০দশমিক ২ কিলোমিটার জয়বাংলা এভিনিউ এখন বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী ভিত্তিক পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের ভাঙন কবলিত মানুষ ২০১৮ সালের শতাব্দির ভয়াবহ ভাঙনের স্মৃতি ভুলে গিয়ে এখন নতুন স্বপ্ন জয়ের আনন্দে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলছে। এছাড়াও  পদ্মার শাখা নদী কীর্তিনাশার ভাঙন রোধে ৩শ’ ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় ১১ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধের চলমান কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে বলেও তিনি জানান। 
প্ল্যানিং কমিশনের যুগ্ম সচিব নাসরিন সুলতানা, পানি উন্নয়ন বোর্ডেও অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পশ্চিম) রমজান আলী প্রামানিক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর অঞ্চল) শাহজাহান সিরাজ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।