শিরোনাম
টাঙ্গাইল, ৭ মে, ২০২৩ (বাসস) : জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে অসময়ে ভাঙতে শুরু করেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার।
উপজেলা প্রশাসন নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ^াস দিয়েছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদী ভাঙনে দিশেহারা গ্রামগুলোর মানুষ। চৈত্র-বৈশাখ মাসের শুষ্ক মৌসুমেও নদী তীরবর্তী ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চলে যাবে যমুনা নদীগর্ভে। এরই মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। রাস্তা, কালভার্ট ও বহু ঘর-বাড়ি, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীর ভাঙন গ্রাস করে নিচ্ছে।
বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গন এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পুর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকার শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুলটি রক্ষায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্কুল শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, বর্ষার আগেই শুষ্ক মৌসুমেই হঠাৎ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ভাঙ্গনের মুখে। স্কুলটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহতি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।