বাসস
  ০৮ মে ২০২৩, ১০:৩১

টঙ্গীতে ক্যাপ তৈরির কারখানায় অগ্নিকান্ড

গাজীপুর, ৮ মে, ২০২৩ (বাসস) : জেলার টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় রোববার রাত ১০টার দিকে জি.জে ক্যাপ অ্যান্ড হেডওয়ার লিমিটেড নামের একটি কারখানায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় গাজীপুর ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরো ৫টি ইউনিটসহ মোট ৮টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে কারখানাটির পাঁচ তলায় আগুন লাগে। এ সময় কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। কারখানার ভেতর আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা তাড়াহুড়ো করে কারখানা থেকে নেমে এসে সড়কে অবস্থান নেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রথমে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে গাজীপুর ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরও ৫টিসহ মোট ৮টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হাসান বাসসকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট রাত ১১টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফট্যানেন্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার জি.জে ক্যাপ অ্যান্ড হেডওয়ার লিমিটেডে আগুন লাগার খবর পেয়ে টঙ্গী, গাজীপুর ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। কারখানার ভবনটির সেফটি ইক্যুইপমেন্টগুলোতে সমস্যা আছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।
তিনি বলেন, কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা ছিল না। পাশের একটি কারখানা থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। আগুনে কারখানায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরে জানানো হবে।
কারখানাটির মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বাসসকে বলেন, কারখানাটিতে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ জন শ্রমিক রয়েছে। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। সাত তলা ভবনের পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছয় ও সাত তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুনে কারখানার মেশিন, টুপি তৈরির সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।