শিরোনাম
জয়পুরহাট, ১০ মে, ২০২৩ (বাসস) : বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন
জয়পুরহাটের কৃষকরা । জেলার মাঠ ঘাট জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান ঘরে তোলার উৎসব।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাটে ২০২২-২০২৩ নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬১ হাজার ৯ শ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৭ হাজার ৭
শ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল। উৎপাদন বিবেচনায় জেলায় আলুর পরে ধানকে প্রধান ফসল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের সুভলতা ও খাটো জিরাশাইল ধানের পাশাপাশি অন্যান্য হাইব্রিড জাতের ধানও পুরো দমে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। দীর্ঘ খরার ফলে আবহাওয়া বিভাগের সতর্ক বার্তা অনুযায়ী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আতংক মাথায় নিয়ে স্বপ্নের ফসল বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। জেলার মাঠ ঘাট জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান ঘরে তোলার উৎসব । প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে লেবার খরচ পড়ছে ৪ হাজার টাকা । লেবারের পাশাপাশি সরকারের ভর্তুর্কি মূল্যে কেনা হারভেস্টর মেশিনেও ধান কাটা মাড়াই করছেন কৃষকরা। ফলে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে তেমন কোন লেবার সংকট নেই বলে জানায় কৃষি বিভাগ। ধানের বাজার সদর উপজেলার পুরানাপৈল বাজার ঘুরে ধান ব্যবসায়ী সুশিল চন্দ্র মন্ডলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান বাজারে ওঠা নতুন ধান মোটা হাইব্রিড জাতের ধান ৯শ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা মণ, চিকন জাতের ধান সুভলতা ১১শ, কাটারি সাড়ে ১২শ, জিরাশাইল এক হাজার ২ শ টাকা মণ পর্যন্ত কেনা বেচা হচ্ছে। সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক, সুভাষ চন্দ্র কর্মকার ও মোসলেম উদ্দিন বলেন, জমিতে থাকা বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে আমরা ঘাম ঝড়ানো কষ্ট ভুলে গেছি। ঝড় বৃষ্টির আগে ঘরে তুলতে পারবো কিনা সেই চিন্তা করছি। পাশের সোনারপাড়া গ্রামের দ্বিজেন চন্দ্র দেবনাথ জানান, এবার ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন ফলনও ভালো হয়েছে এতে খুশি বলে জানান তিনি।
বৈরি আবহাওয়া বিশেষ করে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশংকা থাকায় কৃষকের স্বপ্নের ঘাম ঝড়ানো বোরো ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোছা: রাহেলা পারভিন।