শিরোনাম
বগুড়া, ১০ মে, ২০২৩ (বাসস) : জেলার কৃষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিআর-২৮ ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওযায় সেই জায়গা দখল করছে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান। এ ধানের আশাব্যঞ্জক ফলাফল পেয়েছেন কৃষক এমনটি জানালেন বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান।
বগুড়ায় ২০০০-২১ সালে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ যাত্রা শুরু। তখন প্রদর্শনী খামার স্থাপন করে বিঘা প্রতি ২৮ মণ ধান পওয়া যায় বলে জানান জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ - পরিচালক এনামুল হক জানান, ২০০০ -২১ সালে মাত্র ১৫ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ উৎপাদন হয় মাত্র ১৫ হেক্টর জমিতে। ২০২১-২০২২ সালেব বঙ্গবন্ধূ -১০০ ধান উৎপাদন হয় ২৫০ হেক্টার জমিতে। এর পর ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এ জাতের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এর পর ২০২২-২৩সালে উৎপাদন বেড়ে ১৫৮৭ হেক্টরে। এ জাতের ধান চিকন ও সাদা। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। এর গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৭ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টরে ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে বলে কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি।
এ ধানে রোগ বালাই অনেক কম হওযায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলার কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন যেহেতু বিআর-২৮ ধান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে সেহেতু বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ সেই স্থান দখল করবে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান. তারা বিআর-২৮ ধান চাষে কৃষদের নিরুৎসাহিত করছেন। এ ধানে এ বছর রোগ বালাই এর আক্রমণে অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের থালতা গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ জানান তিনি ২ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ রোপণ করেছিলেন। তিনি জানান গত মঙ্গলবার ধান কেটেছেন ।অন্য ধানে চেয়ে এ ধান অনেক ভালো , রোগ বালাই নেই। বিঘাতে ২৭ মণ ধান পেয়েছেন। গত বছর তিনি বিআর-২৮ লাগিয়ে ছিলেন। সেই ধানে অনেক সমস্য দেখা দেওয়ায় এবার বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ লাগিয়েছেন। এখন অনেকে তার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ বীজ বুকিং দিয়েছে।