বাসস
  ১০ মে ২০২৩, ২২:০৭

লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর, ১০ মে, ২০২৩ (বাসস) : লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
জানা গেছে, জেলার রামগতি উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক মাস্টারকে হত্যার পর আসামি মো. জুয়েল হাওলাদার (৩৯) প্রায় ১৪ বছর পালিয়ে ছিলেন।
সম্প্রতি হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব বিশেষ অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জুয়েল রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সেবাগ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে।
আজ বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, আদালতের রায়ের পর র‌্যাব তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। অবশেষে হত্যা মামলার রায়ের ২ মাস ২৪ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক মাস্টার হত্যা মামলার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আজিজুল হক। এতে জুয়েলকে মৃত্যুদন্ড ও মাহবুব নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। কিন্তু রায়ের সময়  তারা পলাতক ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আরও ৪ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
এদিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জুয়েলকে র‌্যাব গ্রেফতার করলেও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত মাহবুব এখনো পলাতক রয়েছে। পলাতক মাহবুব রামগতির সেবাগ্রামের মৃত মানিক হাওলাদারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সেবাগ্রামের হাজী আবদুল কাদেরের ছেলে। আসামিদের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আসামিরা ২০০৯ সালের ২৩ জুন দুপুরে ওই জমি থেকে মাটি কাটছিল। এ সময় বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশী আলাউদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে অভিযুক্তরা জবিউল হকের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় জবিউল হকের ভাই হাজী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ২১ মে লক্ষ্মীপুর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহাম্মদ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।