শিরোনাম
ভোলা, ১৩ মে ২০২৩ (বাসস): ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁিকতে থাকা বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন।
আজ শনিবার দুপুর থেকে সদর উপজেলা, দৌলতখান, চরফ্যাশনসহ বিভিন্ন এলাকার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা গবাদিপশুসহ ঘূর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন। জেলার মোট সাতশ’ ৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট সাড়ে পাঁচলাখ মানুষ ও ১০ লাখ গবাদিপশু অবস্থান করতে পারবে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন জানান, সদর উপজেলার মাঝের চরে দুইটি মুজিব কিল্লায় স্থানীয় বাসিন্দারা গবাদিপশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ন এলাকার বাসিন্দারা ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছেন। দৌলতখান উপজেলার মদনপুর, ভবানীপুর, হাজিপুর চরের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। চরফ্যাশন ও ভোলা সদরের অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আসছেন।
তিনি জানান, শনিবার বিকালের মধ্যে সকল চরাঞ্চল ও দূরবর্তী এলাকার মানুষজনকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সর্বাত্বক প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ সহ সবাই একসাথে দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বনি¤œ রাখার জন্য সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।