বাসস
  ১৯ মে ২০২৩, ১১:৪৫

বরগুনায় পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিটল পোকা’র চাষ শুরু

বরগুনা, ১৯ মে, ২০২৩ (বাসস) : দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা বরগুনায় পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিটল পোকা’র চাষ শুরু করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে এটি ‘মিল ওয়ার্ম’ নামেও পরিচিত। 
হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মাছ, গাছ এমনকি অনেক দেশে মানুষের খাদ্যে হিসেবেও শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ প্রোটিন যোগায় এ বিটল পোকা বা তার ‘গুটি’।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে দেশের ঢাকা, জামালপুর, ময়মনসিংহে প্রথম এই পোকার চাষ শুরু হয়। বরিশালের দুই উদ্যোক্তা পিটার গোমেজ ও অপু গোমেজ এক বছর আগে বরিশাল শহরে বিটল পোকার চাষ শুরু করেন। সেই খামার দেখে বরগুনার একজন সাংবাদিক মাহবুবুল আলম মান্নু একমাস আগে ১ হাজার পোকা এনে বরগুনাতে পরীক্ষামূলক খামার শুরু করেছেন। 
মান্নু জানিয়েছেন, এ পোকা উড়তে পারে না, দুর্গন্ধ ছড়ায় না। এগুলোর খাদ্যে তেমন খরচ নেই, খরচের চেয়ে উৎপাদন অনেক বেশি। একেবারে ছোট্ট পরিসরেও এগুলো পালন করা যায়। যেহেতু গাছসহ সকল প্রাণীর খাদ্যের প্রোটিন যোগান দেয় সেহেতু বিটল পোকা ও তার গুড়ার চাহিদা দেশেতো আছেই বিদেশে আরো বেশি চাহিদা আছে, তাই এ খামারিদের ভবিষ্যত উজ্জ্বলতার মুখ দেখতে পাচ্ছি।  
উদ্যোক্তা পিটার গোমেজ ও অপু গোমেজ এর মতে, আগে পোলট্রি ফিডসহ অন্যন্য ফিডের সাথে বিটল পোকার পাউডার মিশ্রণ হয়ে আসতো আমাদের দেশের সকল খামারিদের জন্য। এখন দেশে উৎপাদিত পোকার তৈরি বিটলের গুড়োর বর্তমান দর প্রতিকেজি ৩ হাজার টাকা। তাহলে যখন বিদেশ থেকে আনা হতো তখন নিশ্চয়ই অনেক বেশি দাম পড়তো; তাই খরচটা কমিয়ে আনার জন্য দেশেই পোকার আমদানি করা হয়েছে। বিটল পোকা উৎপাদন ঝামেলা মুক্ত বিধায় যে কোন ফার্মের প্রয়োজনেই শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া শ্রেয়।
বরগুনা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এসএম বদরুল আলম বাসস’কে জানান, বরগুনাতে বিটল পোকার চাষ একটি আনকোরা উদ্যোগ। দেশীয় খামারিদের জন্য এ পোকার সরাসরি চাহিদা এখনও তৈরী হয়নি। ভালো বাজার তৈরী হলে বিভিন্ন খামারের খাদ্য-পুষ্টি চাহিদায় বিটল পোকা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।