শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ মে, ২০২৩ (বাসস): প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে আমি অন্তত এক মিনিটও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপেক্ষা করব না। সে যত উচ্চ পদস্থ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হোক বা সুপ্রিম কোর্টের কোন কর্মচারীই হোক।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সহায়তার অগ্রগতি’- শীর্ষক সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা কলেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মেধাবী জুডিসিয়াল অফিসারদের সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে নিয়ে এসেছি। কক্সবাজার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে এসেছি। তাকে প্রধান করে দুর্নীতি রোধে একটি টাক্সফোর্স করেছি। তাদের নির্দেশনা দিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের কোনো সেক্টরে দুর্নীতি চলছে কিনা, তা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য। কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে, আমি অন্তত এক মিনিটও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপেক্ষা করব না। সে যত উচ্চপদস্থ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হোক বা সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারীই হোক। তার বিরুদ্ধে প্রসিডিংস শুরু করতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করব না। কিন্তু যদি কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না আসে তাহলে কীসের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব? যখন কারো দুর্নীতি হাতেনাতে ধরা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে যদি দুর্নীতির সাথে কেউ জড়িত হন, কোনো প্রমাণ থেকে থাকলে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।
প্রধান বিচারপতি লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, বিচার প্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে সারা দেশের লিগ্যাল এইড অফিসারদের পারফরমেন্স আশাব্যঞ্জক। লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে আরো জোরদার হলে মামলাজট ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আইনপেশাকে মানুষের সেবা করার বড় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে আইনজীবীদের গরিব মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রমুখ।