শিরোনাম
যশোর, ১০ জুন, ২০২৩ (বাসস) : শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি স্কুলে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন। প্রতিবন্ধীদেরও নিয়ে আসা হয়েছে শিক্ষার আওতায়। নিরাপত্তার জন্য ২১টি বিদ্যালয়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট)। শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে বিদ্যালয় আঙিনায় পুষ্টি বাগানে বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষ করছে। প্রতি চার মাস পর পর মূল্যায়ন ও ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হচ্ছে। যশোরের বাঘারপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এরকম বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন উপজেলা কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান।
তার নেয়া পরিকল্পনায় এখানকার প্রাথমিকের শিক্ষার মান্নোয়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
গত ৮ জুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১০২টি বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার জন্য সিমকার্ড দেয়া হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও তাদের অভিভাবকদের সংবর্ধনা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। জাতীয় শিক্ষা পদক উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ, উত্তম চর্চায় (শিক্ষকদের আগমন প্রস্থান, শিশুদের নৈতিকতা শেখানো, স্কুলের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাসহ শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখা ইত্যাদি) বিশেষ অবদান রাখায় ৫টি বিদ্যালয়কে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান জানান, বাঘারপাড়ায় যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছি ।