বাসস
  ১২ জুন ২০২৩, ১৮:০৯

স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল স্বাক্ষরের বিকল্প নেই : প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন  

ঢাকা, ১২ জুন, ২০২৩ (বাসস) : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষরের বিকল্প নেই।
তিনি আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অডিটোরিয়ামে কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ (সিসিএ) আয়োজিত ‘ডিজিটাল স্বাক্ষর রেজিস্ট্রেশন’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সিসিএ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র সচিব ড. ফেরদৌস জামান, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া ও  সিসিএ কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক মোঃ মোখতার আহমেদ বক্তৃতা করেন।
এই প্রশিক্ষণে ইউজিসির পরিচালকসহ প্রথম শ্রেণির ১০৮ জন  কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন ডিজিটাল স্বাক্ষরের বিষয়ে বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ‘স্মার্ট গভর্নমেন্ট’। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ডিজিটাল স্বাক্ষর। নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে হলে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োজন। এটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডের আইনানুগ স্বীকৃতি দিবে এবং ইমেইল যোগাযোগ নিরাপদ, জালিয়াতি রোধ ও দুর্নীতি দমন করবে। ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সাইবার হামলা, ই-লেনদেন ইত্যাদি ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।
প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল স্বাক্ষর নিশ্চিত করা গেলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে, দ্রুততার সাথে দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা যাবে। এছাড়া এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
ডিজিটাল স্বাক্ষর নিশ্চিত করা গেলে একজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে সরকারের পেপারলেস অফিস বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্যের বিকৃতি রোধ করা যাবে ও তথ্যে অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে।