বাসস
  ১২ জুন ২০২৩, ২০:৪২

তরুণ সমাজকে মাদক প্রতিরোধে সম্পৃক্ত হতে হবে

ঢাকা, ১২ জুন, ২০২৩ (বাসস) : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মা: আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেছেন, তরুণ সমাজকে মাদক প্রতিরোধে সম্পৃক্ত হতে হবে। পাশাপাশি মাদক প্রতিরোধ কর্মসূচিতে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ এবং মিডিয়ার সম্পৃক্ততা মাদক হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে। 
তিনি বলেন, যুবক বয়সে মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে। অল্প বয়সে মাদক সেবন করা মস্কিষ্কের বিকাশ প্রক্রিয়াগুলিতে প্রভাবিত করতে পারে। এটি তাদের সিদ্ধান্ত  গ্রহণকেও প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে তারা মাদক গ্রহণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অল্পবয়সীরা যত আগে মাদক ব্যবহার শুরু করে, তত পরবর্তী জীবনে মাদক নির্ভরশীল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’ 
আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের যৌথ উদ্যোগে আজ বিশ^বিদ্যালয়ের ড. এম. এইচ. খান অডিটোরিয়ামে, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ‘সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক এবং এডুকেশনাল ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহ্জাবীন হক এবং কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিফ কনসালটেন্ট ডা: শোয়েবুর রেজা চৌধুরী। মূখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। 
আবদুল ওয়াহাব ভূঞা  বলেন, যারা মাদক ব্যবহার করেন, বিশেষ করে যারা নির্ভরশীলতার সাথে লড়াই করছেন তারা বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হন। এজন্য যারা মাদক সেবন করেন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং যতœশীল হতে হবে যাতে তারা সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। 
হেলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, সন্তানদের সাথে অবিভাবকের ভাল যোগাযোগ সন্তানদের  আত্মবিশ্বাস বড়িয়ে দেয়, এর ফলে সে দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করতে সমাধান করতে সাহায্য করে। তরুনদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং দায়িত্ব শেখানো বিষয়ে যতœশীল হতে হবে।
মেহ্জাবীন হক বলেন, কিছু কিছু যুবক বর্ধিত ঝুঁকিতে রয়েছে যা মাদক গ্রহণসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে। এজন্য সম্মিলিত প্রতিরোধ দরকার। 
শোয়েবুর রেজা চৌধুরী বলেন, মাদক ব্যবহারের কারনে এইচআইভি এবং এসটিডিসহ অন্যন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে তরুনরা। 
 ইকবাল মাসুদ বলেন, ধূমপানের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ শুরু করে এবং তামাক কোম্পানি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রলুদ্ধ করতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে। বর্তমান সময়ে ই-সিগারেটের প্রমোশনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রলুদ্ধ করছে। তামাক কোম্পানির অপকৌশলের বিরুদ্ধে সকলেকে সচেতন থাকতে হবে। 
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরউল্লা কাজল এবং আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো:  মিজানুর রহমান, ইয়ুথ লিডার মারজানা মুনতাহা ও আকিব দিপু। সভা শেষে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর সদস্যরা সচেতনতামূলক মানব বন্ধনের আয়োজন করে।