বাসস
  ১৩ জুন ২০২৩, ১০:১৩

যশোরে ঈদুল আযহা উপলক্ষে দু’লাখ দুস্থ মানুষ পাচ্ছে বিনামূল্যের চাল

যশোর, ১৩ জুন, ২০২৩ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে যশোরের আট পৌরসভা ও আট উপজেলায় দুস্থ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হবে। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৭ কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে ১ হাজার ৮৫৫ দশমিক ৭৭০ মেট্রিকটন চাল।
এর মধ্যে আট উপজেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০ কার্ডে বিতরণ করা হবে ১ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৭০০ মেট্রিকটন চাল। আট পৌরসভায় ৩০ হাজার ৮০৭ কার্ডে বিতরণ করা হবে ৩০৮ দশমিক ৭০ মেট্রিকটন চাল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা দুর্যোগ ও পুনর্বাসন অফিস কর্তৃপক্ষ।
এ অফিসের কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম জানান, এক পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ডে চাল নিতে পারবে না। আর চাল বিতরণে কোন রকম অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা দুর্যোগ ও পুনর্বাসন অফিসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, আট উপজেলার ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০ কার্ডের মধ্যে অভয়নগরে ৯ হাজার ৮৩ কার্ডে দেয়া হবে ৯০ দশমিক ৮৩০ মেট্রিকটন চাল। বাঘারপাড়ায় ১৬ হাজার ৩৬৩ কার্ডে দেয়া হবে  ১৬৩ দশমিক ৬৩০ মেট্রিকটন চাল। চৌগাছায় ১২ হাজার ৪৬৫ হাজার কার্ডে দেয়া হবে ১২৪ দশমিক ৬৫০ মেট্রিকটন চাল, ঝিকরগাছা ১৫ হাজার ২২৫ কার্ডে দেয়া হবে ১৫২ দশমিক ২৫০ মেট্রিকটন চাল। কেশবপুরে ১৬ হাজার ৯৫২ কার্ডে দেয়া হবে ১৬৯ দশমিক ৫২০ মেট্রিকটন চাল। মণিরামপুর ২৯ হাজার ৭৫০  কার্ডে দেয়া হবে ২৯৭ দশমিক ৫০০মেট্রিকটন চাল। সদরে ৩১ হাজার ৩৩০ কার্ডে দেয়া হবে ৩১৩ দশমিক ৩০০ মেট্রিকটন চাল। শার্শা ২৩ হাজার ৬০২ কার্ডে দেয়া হবে ২৩৬ দশমিক ২০ মেট্রিকটন চাল।
এদিকে আট পৌরসভায় ৩০ হাজার ৮০৭ কার্ডের মধ্যে যশোর পৌরসভায়  ৪ হাজার ৬২১ কার্ডে দেয়া হবে  ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল। নওয়াপাড়া পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিক টন চাল, কেশবপুর পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডে দেয়া হবে  ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, বেনাপোল পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল, মণিরামপুর পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ কার্ডে দেয়া হবে ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিকটন চাল।
চৌগাছা ৩ হাজার ৮১ কার্ডে দেয়া হবে ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিক টন চাল, ঝিকরগাছা ৩ হাজার ৮১ কার্ডে দেয়া হবে ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিক টন চাল। বাঘারপাড়ায় পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০ কার্ডে দেয়া হবে ১৫ দশমিক ৪০০ মেট্রিকটন চাল।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতি বছরের মতো এবারো সরকার দুস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে। ঈদের সময় যাতে সকলে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে সে জন্য সরকার এ ব্যবস্থা অব্যহত রেখেছে।