শিরোনাম
কুমিল্লা, ১৪ জুন, ২০২৩ (বাসস) : নৌবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বলেছেন, এ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে।
তিনি নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিভাবান সাঁতারুদের সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন নতুন সাঁতারু খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল আজ বুধবার কুমিল্লা জেলার এ বি এম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘শেখ রাসেল ১৯তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতায়’ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
এর আগে, আজ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গোমতী নদীতে ‘শেখ রাসেল ১৯তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারশন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম।
ঢাকা নৌ অঞ্চল’র কমান্ডার ও বাংলাদেশ নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি রিয়ার এডমিরাল খোন্দকার মিজবাহ উল আজীম, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম শফিউদ্দিন, দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল চৌধুরী, জাতীয় সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা, বিপুল সংখ্যক সাঁতারু ও সাধারণ দর্শক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার আন্তঃবাহিনী গণংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাচিত বিভিন্ন বয়সের ৭জন পুরুষ সাঁতারু এবং ৭ জন মহিলা সাঁতারু অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় পুরুষ সাঁতারুরা কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর কংশনগর হতে শুরু হয়ে দেবিদ্বার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সাঁতারে অংশ নেয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র ফয়সাল আহম্মেদ, ১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান ও একই বাহিনীর পলাশ চৌধুরী ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট ১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুয়েল আহম্মেদ, ১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
অপরদিকে, চূড়ান্তভাবে ৭ জন মহিলা সাঁতারু বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর কংশনগর হতে শুরু হয়ে দেবিদ্বার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে মহিলা বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সোনিয়া আক্তার, ১ ঘন্টা ১৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী হতে সুরাইয়া আক্তার, ১ ঘন্টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ১ ঘন্টা ১৮ মিনিট ৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোছাঃ মুক্তি খাতুন প্রতিয়োগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
এর আগে, গত ২৮ মে রাজধানীর বনানীস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুইমিং পুলে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে ৭ জন পুরুষ সাঁতারু এবং ৭ জন মহিলা সাঁতারু’কে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান সাঁতারুদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৭ সালে আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত সেরা কৃতী সাঁতারুরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এই সেরা সাঁতারুরাই দেশ ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক সাঁতার অঙ্গনে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।