শিরোনাম
সিডনি, ১৫ জুন, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে দেশটির পার্লামেন্টের কাছে একটি নতুন রুশ দূতাবাস নির্মাণে বাধা দেবে সরকার ।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে লিজ নেয়া একটি জমিতে রাশিয়া নতুন দূতাবাস ভবন নির্মানের পরিকল্পনা করেছে।
আলবেনিজ বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ পাওয়ার পর, জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় এই উন্নয়নকে আটকাতে নতুন আইন করা হবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পার্লামেন্ট হাউসের এত কাছে রাশিয়ার নতুন উপস্থিতির ঝুঁকি সম্পর্কে সরকার খুব স্পষ্ট নিরাপত্তা পরামর্শ পেয়েছে।’
‘লিজ নেয়া সাইটটি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দ্রুত কাজ করছি।’
নতুন আইন, যা দ্বিদলীয় সমর্থন অর্জন করেছে, এটি রাশিয়াকে অস্ট্রেলিয়ায় কূটনৈতিক পদচিহ্ন রাখতে বাধা দেয় না, শুধুমাত্র পার্লামেন্টের এত কাছে তার দূতাবাস তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল জায়গাটিকে পার্লামেন্ট ভবনের ‘সরাসরি সংলগ্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্যানবেরায় প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রাশিয়ান দূতাবাসের প্রধান সমস্যা হল এর অবস্থান।’
‘সরকার সুস্পষ্ট পরামর্শ পেয়েছে যে, এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে এবং সেই কারণেই সরকার এই দীর্ঘস্থায়ী বিষয়টির অবসান ঘটাতে আজ সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করছে।’
আলবানিজ বলেছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় রাশিয়ার কূটনীতিকদের কাছ থেকে কিছু ধাক্কা আশা করেছেন, যারা আগে আদালতের মাধ্যমে মামলায় লড়ার হুমকি দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘কী প্রতিক্রিয়া হয় আমরা তার জন্য অপেক্ষা করব।’
‘আমরা আশা করি না যে রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে কথা বলার অবস্থানে আছে।’
রাশিয়ার দূতাবাস আগেই ঘোষণা করেছে, অস্ট্রেলিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও তারা নির্মাণ শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়া সরকার চুক্তিটি বাতিল করার জন্য চাপাচাপি করছে।
রাশিয়ার ফেডারেল সরকারের একটি সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অথরিটির সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে ২০০৮ সালে সাইটটির লিজ অধিগ্রহণ করে।
এখানে তার নতুন দূতাবাস নির্মাণের জন্য ২০১১ সালে ভবন নির্মানের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
অন্যান্য আইনি উপায়ে ইজারা বাতিল করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার হস্তক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে, সরকার ঘোষণা করেছিল যে, এটির ইজারা বাতিল করছে কারণ রাশিয়া তার ভবন অনুমোদনের দিকগুলো ভঙ্গ করেছে।