শিরোনাম
সংসদ ভবন, ১৫ জুন, ২০২৩ (বাসস) : রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বর্তমান সরকার একটি আধুনিক, জনবান্ধব রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্যান্য খাতের মতো রেল যোগাযোগেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে।
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার একটি জনবান্ধব রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবার গত বছরের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা বেশি করে ১৯ হাজার ১০ কোটি ৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন চলমান বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭,৬১,৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, যমুনা নদীর উপর আরও একটি রেল সেতু হচ্ছে, যা চলতি বছরের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি রেল যোগাযোগ বাস্তবায়ন হবে এবং তা উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ভাঙা রেল লাইন চালু করা হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, এতিমের টাকা মেরে খাওয়া খালেদা জিয়া আর কখনো মানুষের রায় পাবেন না।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হরণ করেছিল, পেছনের দরজা দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারাই আজ গণতন্ত্রের সবক দেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তথাকথিত কিছু সুশীল বাবুরা। এরা কারা? দেশবাসী তাদের ভালো করেই চেনেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আনতে চায়, দেশবাসী তাদের উচিত জবাব দেবে। কীসের গণতন্ত্রের কথা বলেন তারা? কারফিউ গণতন্ত্র? বিনা বিচারে মানুষ হত্যার গণতন্ত্র? সেই গণতন্ত্র আর ফিরে আসবে না। জনগণ ক্ষমতার মালিক, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। উন্নয়ন-অর্জনে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি দলের সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অত্যন্ত সাহসী, বাস্তবমুখী, গণমুখী ও বাস্তবায়নযোগ্য। এটি বিএনপি আমলের বাজেটের চেয়ে ৯ গুণ বড় বাজেট। তিনি টিআইএন এর সর্বনি¤œ ২০০০ টাকা ট্যাক্স বাতিল এবং ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানান।
বাজেটের উপর আরও আলোচনায় অংশ নেন, সরকারি দলের সদস্য ইকবালুর রহিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অসীম কুমার উকিল, পঙ্কজ নাথ, আব্দুল মজিদ খান, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মোসলেম উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, সামসুন নাহার, গাজী শাহনওয়াজ ও জাতীয় পার্টির শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ।