বাসস
  ১৭ জুন ২০২৩, ১১:০৫

পিরোজপুরে পতিত ৯ হাজার হেক্টর জমি চাষের আওতায়

পিরোজপুর, ১৭ জুন, ২০২৩ (বাসস) : দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকা পিরোজপুরে ৮ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমি এ বছর বোরো চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এ জমিতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন। এ নিয়ে এ জেলার ৭ উপজেলায় ১০ হাজার ৬৪৮ হেক্টর পতিত জমি চলতি রবি মৌসুমে চাষের আওতায় এসেছে।
এক ইঞ্চি জমিও পতিত থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণার সাথে সাথে পতিত জমি চাষের আওতায় এনে ফসল ফলানোর লক্ষ্যে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তর মাঠে নেমে পড়ে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ,সেবা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম সিকদার জেলার বিভিন্ন উপজেলা সফর শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারসহ অন্যান্য অফিসারদের এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যৌথ আয়োজনে কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক এসকল সভায় উপস্থিত হয়ে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করেন এবং পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ারও ব্যবস্থা করেন। ইতোমধ্যেই বোরো চাষের পাশাপাশি ১ হাজার ৮৫৬ হেক্টর পতিত জমিতে ভুট্টা, সূর্যমূখী, খেসারী এবং মুগের চাষ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুন রায় জানান ৩১৬ হেক্টর পতিত জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫শত মেট্রিকটন। ৪৪৮ হেক্টরে সূর্যমূখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯শত মেট্রিকটন। ২৪২ হেক্টরে খেসারী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩শত মেট্রিক টন এবং ৮৩০ হেক্টরে মুগ ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২শত মেট্রিক টন। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জানান পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, ইন্দুরকানী উপজেলায় ১ হাজার ৩৬৫ হেক্টর, কাউখালীতে ৮৩২ হেক্টর, নেছারাবাদে ১ হাজার ৬৪৩ হেক্টর, নাজিরপুরে ১৯৬ হেক্টর, ভান্ডারিয়ায় ২ হাজার ৯২ হেক্টর এবং মঠবাড়িয়ায় ২ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। জেলা প্রশাসক মোঃ জাহেদুর রহমান জানান মূলত কৃষকদের সাথে আমাদের মতবিনিময় সভাগুলোর ফলে তাদের উদ্ভুদ্ধকরণ করা সহজ হয়েছে। এছাড়া প্রণোদনার সহায়তা পেয়েও তারা উৎসাহিত হয়েছে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনেই এ জেলার সকল উপজেলার কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত নেই এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নেতৃবৃন্দ আমাদের সহায়তা করে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে এ জেলার সকল পতিত জমি আগামীতে চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ লক্ষ্যে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধকরণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে  ।