শিরোনাম
॥ মাহফুজা জেসমিন ॥
ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দশ উদ্যোগ। এই দশ উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নের দশটি দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৪ সালে গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যে মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ নামে পরিচিত। উদ্যোগগুলো হলো; (এক) একটি বাড়ি একটি খামার (বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক), (দুই) আশ্রয়ণ প্রকল্প, (তিন) ডিজিটাল বাংলাদেশ, (চার) শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, (পাঁচ) নারীর ক্ষমতায়ন, (ছয়) ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, (সাত) কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, (আট) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, (নয়) বিনিয়োগ বিকাশ এবং (দশ) পরিবেশ সুরক্ষা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক দীপঙ্কর রায় বলেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের শুরুতে গড়ে উঠা প্রত্যেক গ্রাম উন্নয়ন সমিতিতে ৬০ জন সদস্যের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ জন নারী সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ফলে দেখা যায় যে, নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগিয়ে যারা এই সমিতির মাধ্যমে সাবলম্বী হয়েছেন তাদের ৬০ শতাংশই নারী।
তিনি বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে এখন যদি ৬০ লাখ সদস্য হয়ে থাকে তাহলে তার মধ্যে ৪০ লাখই নারী সদস্য। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ গৃহিনী নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার এক নিভৃত লক্ষ্য বিদ্যমান। অন্যদিকে সমিতির সদস্যদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি সমাজকে নারীর প্রতি সংবেদনশীলতার শিক্ষাও দিয়েছে। সমিতির মাধ্যমে যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণা চালানো হয়। নারীদের আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা এবং নারীর আর্থিক ও সমাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ভূমিহীন, গৃহহীন, দুর্দশাগ্রস্থ ও ছিন্নমূল পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমি ও গৃহের মালিকানা স্বত্ব প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া), বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুনর্বাসিত পরিবার যেন ভবিষ্যতে মালিকানা সংক্রান্ত কোন জটিলতায় না পড়েন সেজন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জমির মালিকানা স্বত্বের রেজিস্টার্ড দলিল/কবুলিয়ত, নামজারি খতিয়ান ও দাখিলাসহ সরেজমিনে দখল হস্তান্তর করা হয়।
‘তথ্যআপা’ দেশজুড়ে এক অতিপরিচিত নাম। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায় ) হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় মহিলা সংস্থা ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মোট জনবল ২৪৮৪ জন। প্রধান কার্যালয়ে ২৪জন এবং ৪৯২টি তথ্যকেন্দ্রে ২৪৬০ জন। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। ৮ (আট) টি বিভাগের ৬৪ (চৌষট্টি) টি জেলার অন্তর্গত ৪৯২ (চারশত নব্বই) টি উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাপ্রদানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নই এ প্রকল্পের লক্ষ্য।
এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি তথ্য কেন্দ্রে ১ জন তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও ২ জন তথ্যসেবা সহকারী তথ্যসেবা প্রদানের কাজে নিয়োজিত আছেন। এরাই প্রকল্প এলাকায় তথ্যআপা হিসেবে পরিচিত।
তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, উপজেলার সরকারি সেবাসমূহের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ, ভিডিও কনফারেন্স, ই-লার্নিং, ই-কমার্স ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের সহায়তা করে থাকেন। এছাড়া, তথ্য আপারা ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকাধীন গ্রামবাসীদের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যসেবা প্রদান করেন। এছাড়াও উঠান বৈঠকের আয়োজন করে গ্রামীণ তৃণমূল মহিলাদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন করা, গ্রামীণ মহিলাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বাল্যবিবাহ, ফতোয়া, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, আইনগত সমস্যা এবং ডিজিটাল সেবাসমূহের নানাদিক (ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্স) সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রতিটি উঠান বৈঠকে ৫০ জন গ্রামীণ মহিলা অংশগ্রহণ করেন। মাসে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে ২টি করে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির অধীনে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যন্ত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার রোধ, বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে গত এক দশকে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে এবং ঝরে পড়ার হার কমেছে। অন্যদিকে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথ প্রশস্ত হয়েছে।
সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১” প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে “নারী পুনর্বাসন বোর্ড” ও “জাতীয় মহিলা সংস্থা” প্রতিষ্ঠা করা হয়। নারীর টেকসই অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে ২০১১ সালে “জয়িতা ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠা করা হয়। যাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাগণ কোন ঝুঁকি ছাড়াই তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারেন।
কর্মজীবী নারী ও নারী উদ্যোক্তাদের আবাসন সমস্যা সমধানের জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে মহিলা হোস্টেল নির্মাণ, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি দূরদর্শী উন্নয়ন ভাবনারই প্রতিফলন। “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন ২০১৫” প্রণয়ন, পাসপোর্টে মায়ের নাম অন্তর্ভূক্ত করার মধ্যে দিয়েও সমাজে নারীর অবস্থানকে সুসংহত হয়েছে।
জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি বিদ্যুৎ। যখন আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই সমাজে নারীর আর্থিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পায়। তাই, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ কার্যক্রমে সরাসরি নারীর ক্ষমতায়নের চিত্র দৃষ্টিগোচর না হলেও পরোক্ষভাবে এই উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সারাদেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীর জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা থাকায় নারীর নিরাপত্তা বেড়েছে। ফলে, তারা বেশি সময় বাইরে ব্যয় করতে পারছেন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত হচ্ছেন। বিদ্যুতায়িত ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র প্রশিক্ষিত নারীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। যেসব নারী ঘরের বাইরে যেতে পারেন না, তারাও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় ঘরে বসে ইন্টানেট সংযোগের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সাথে যুক্ত হতে পারছেন। তারা অনলাইন ব্যবসাসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজেও যুক্ত হচ্ছেন। কোভিড মহামারীকালে লকডাউনের মধ্যেও নারীরা ঘরে বসেই নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য কেনা বেচার এক বিস্তৃত বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক মননে নারীর স্বাস্থ্য চিরকাল এক অবহেলিত বিষয়। পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে নারী প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান, সেই নারীর ছোটখাট স্বাস্থ্য সমস্যা দূরে থাক, অসুস্থ হয়ে ঘরে পরে থাকলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার চিন্তা ছিলো প্রায় অসম্ভব। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গৃহিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুইভাবেই নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার যেমন বেড়েছে, গ্রামীণ নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিও সহজ হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সেবা, প্রসবকালীন সেবা ও প্রসব পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করেছে। যা গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে দেশে মাতৃমৃত্যু হার এবং শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। নারীর গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করেছে।
সমাজের অবহেলিত, অক্ষম, নিঃস্ব জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার ১২৩ টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিধবা নারীদের জন্য ভাতা প্রদান, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের ভাতা প্রদান ইত্যাদি। এছাড়াও মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের আওতায় প্রতি অর্থবছরে ১৫০০ জন দুস্থ, অসহায়, মহিলাদের ১.৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করছে।
বিনিয়োগ বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো বিদ্যুৎ। বর্তমান সরকারের সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মহাসড়কের উন্নয়ন, আধুনিক সমুদ্র বন্দর স্থাপন ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তারাও বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। নারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি ব্যবস্থা গৃহিত হওয়ায় বৃহৎ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন নারীরা। সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ায় নারীরা এখন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পাশাপাশি বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ করছেন। একদিকে যখন কিছু নারী রান্না, সেলাই, সাজসজ্জার বিষয়ে বিনিয়োগ করছেন। অন্যদিকে নারীরা প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা ইত্যাদি ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন।
প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা, গবেষণা, উদ্ভিজ্জ জরিপ এবং বনজ সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ ও বন নিশ্চিতকরণ এ উদ্যোগের লক্ষ্য। পরিবেশগত বিপর্যয় সমগ্র মানবগোষ্ঠীর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত নারী, গর্ভবর্তী মা, গর্ভস্থ শিশু ও শিশু-কিশোররা শারীরিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। দেশের সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষিত হলে এই নারী ও শিশুরা এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে।