বাসস
  ১৭ জুন ২০২৩, ১৯:৩১

মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার কোরবাণীর পশু প্রস্তুত : দৃষ্টিনন্দন ৬০ মণের রাজাবাবু

॥ দিলরুবা খাতুন ॥
মেহেরপুর, ১৭ জুন ২০২৩ (বাসস) :  গত কোরবাণীর ঈদে রাজাবাবু গরুটার দাম ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন ক্রেতারা।  কিন্তু গরুর মালিক খামারী ইনসান তার রাজাবাবুকে দেশসেরা পশুর তালিকায় দেখার আশায় ওই দামে বিকাতে চাননি। এবার তিনি রাজাবাবুর দাম হেঁকেছেন ৪০ লাখ টাকা। 
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের খামারী ইনসান আলী গত চারবছর আগে মাত্র ৮৫ হাজার টাকায় রাজা বাবুকে ক্রয় করেন। এরপর থেকেই পরম যতেœ লালন-পালন করে বড় করেছেন রাজাবাবুকে।
এখন রাজাবাবুর ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ মনের উপরে। উচ্চতা ৮ ফুট। ফ্রিজিয়াম জাতের এই গরুটির পেছনে প্রতিদিনের খরচ ১ হাজার টাকা। তাপদাহের কারনে প্রতিদিন তিন থেকে চারবেলা গোসল করাতে হয়। দূর থেকে পশুটিকে কালাপাহাড়ের মতো মনে হয়। প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছে ওই গরু দেখতে।
ইনসান আলী জানান- গত বছর ভালো দাম পেয়েও রাজাবাবুকে বিক্রি করেননি দেশ সেরা বড় গরুর তালিকায় নাম ওঠাতে। কালো রংয়ের এই গরুটি ৪০ লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন ইনসান আলী।  তিনি আরও জানান- পারিবারিক তার খামারে পরিবারের সদস্যরা পালাকরে রাতপাহারা করেন রাজাবাবুর দেখভালে। তিনি এও জানান পশুটি বিক্রি হয়ে গেলে আর্থিকভাবে হয়তো লাভবান হবেন। কিন্তু মানষিকভাবে চরম কষ্ট পাবেন।
সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের খামারী একরাম হোসেন পশুটির কথা শুনে দেখতে এসেছেন। তিনিও আগামীতে এমন মোটা-তাজা পশু পালনের ইচ্ছের কথা জানান।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের মতে পশুটি খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় গরু।  
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, এবার জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা ৯০ হাজার। জেলার খামার ও পারিবারিকভাবে ১ লাখ ৯০ হাজার পশু প্রস্তুত হয়েছে। এরমধ্যে দৃষ্টিনন্দন পশু হয়েছে রাজাবাবু।