শিরোনাম
সংসদ ভবন, ১৯ জুন, ২০২৩ (বাসস) : বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেনে উঠুন, আর না হয় কলার ভেলায় চড়ে সাগরে ভেসে যাবেন।’
তিনি আজ সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘২০২৩-এর ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন। কতিপয় বিদেশি মহল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘোঁট পাকাচ্ছে। আর বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সঙ্গীদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে, তারা নির্বাচনের আগেই ক্ষমতার প্রশ্ন ফয়সালা করতে চায়। বিএনপির প্রতি আমার আহ্বান, নির্বাচনের ট্রেনে উঠুন, আর না হয় কলার ভেলায় চড়ে সাগরে ভেসে যাবেন।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশে আর ‘৭৫ বা ‘৮২ বা ১/১১-এর মতো ভূতের সরকার, সামরিক সরকার হবে না। ওই আশায় বসে না থেকে নির্বাচনি ট্রেনে উঠে পড়ুন। দেশকে সাংবিধানিক ধারায় চলতে সাহায্য করুন।’
চলমান ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও গত ১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘২০ হাজার মাইল দূরের কেউ এসে আমাদের দেশকে খেলার মাঠ বানাবে আমরা সেটা হতে দেবো না। আমরা দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশে সঠিক সময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এটাই মোদ্দা কথা।’
তিনি বলেন, বিশ্বমোড়ল তাদের ভূ-রাজনৈতিক সামরিক স্বার্থে রাশিয়ার কাঁধে ইউক্রেন যুদ্ধ চাপিয়েছে। চীনের কাঁধে তাইওয়ান যুদ্ধ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সুতরাং বিএনপি-জামায়াত যারা নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে না পেরে বিদেশি বিভিন্ন মহলের কাছে গিয়ে ধরনা দিয়ে খাল কেটে কুমির আনছে, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু।
জাসদ সভাপতি বলেন, যেকোনও মূল্যে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে। বাজারে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির জন্য সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। কতিপয় ব্যবসায়ীর কাছে কি সরকার, প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ জিম্মি?
কুইক রেন্টালের সমালোচনা করে ইনু বলেন, কুইক রেন্টাল সরকার জরুরি ভিত্তিতে করেছিল, যখন অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র আসা শুরু করলো তখন এদের বসিয়ে রেখে ১০ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ কেন দেবেন। তিনি বলেন, দেশের কতিপয় শীর্ষ কোম্পানিকে গত ৯ মাসে কুইক রেন্টাল কনসেপ্টের ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, আ ফ ম রুহুল হক, ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, বীরেন শিকদার, হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, শাহে আলম, শহিদুল ইসলাম বকুল, সামশুল হক চৌধুরী, সাইফুজ্জামান শিখর, ইকবাল হোসেন সবুজ, মমতা হেনা লাভলী, হাবিবা রহমান খান, খোদেজা নাসরিন আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ, বেগম নাদিরা ইয়াসমিন জলি, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জাকিয়া তাবাসসুম, বিকল্পধারার সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ আলোচনায় অংশ নেন।