বাসস
  ২০ জুন ২০২৩, ১৩:১৪

বরিশাল অঞ্চলে টিসিবির আওতায় ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭১টি উপকারভোগী পরিবার

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ২০ জুন, ২০২৩ (বাসস) : সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম বড় জায়গা হচ্ছে সরকারি বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ভর্তুকি কার্যক্রম। ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্যে ডাল, তেল, চিনির পর আগামী জুলাই মাস থেকে যোগ হচ্ছে চাল। বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের ৬ জেলায় সর্বমোট ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭১টি উপকারভোগী পরিবার রয়েছে টিসিবির ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ডাল, তেল, চিনির পর জুলাই থেকে শুরু করতে যাচ্ছে ৫ কেজি করে চাল।
আসন্ন ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে ও বর্ষা মৌসুমে এই স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টিসিবি’র পণ্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও বিগত রমজান মাসে ছোলা ও খেজুর দেয়া হয়েছিল টিসিবি’র পণ্যে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই কার্যক্রমের আওতায় বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয় ৬ জেলায় সর্বমোট ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭১টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল ও ১ কেজি চিনি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অফিস প্রধান শতদল মন্ডল বলেন, বর্তমান সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি পণ্য সরবরাহ করছেন। পাশাপাশি জুলাই মাস থেকে টিসিবি কার্ডধারী প্রতিটি পরিবার ৫ কেজি করে চাল পাবেন। বর্তমান সরকারের এই কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, পণ্যমূল্য যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে টিসিবি সেই লক্ষ্যে কাজ করে। জনগণ যেন সরকারি সেবা ভর্তুকি মূল্যে পায় সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করছি। বাজারের তুলনায় আমাদের পণ্যের মান অনেক ভালো। তাই চাহিদাও বেশি।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১২১ জন পরিবেশক-এর মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সর্বমোট প্রায় ৯০ হাজার উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে প্রতি মাসে এই টিসিবি পণ্য আঞ্চলিক কার্যালয়-এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানের দিক-নির্শেনায় এই পণ্য ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করতে পেরে আমরা খুশি। তবে এই টিসিবি কার্ডধারী উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের চাহিদা রয়েছে। যে কারনে সরকারের কাছে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করার একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারের এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হলে সামাজিক নিরাপত্তায় যত প্রোগ্রাম চালু রয়েছে তা চালু রাখা দরকার। সামাজিক নিরাপত্তার বড় জায়গা হচ্ছে এখন টিসিবি’র ভর্তুকি কার্যক্রম।