বাসস
  ২০ জুন ২০২৩, ১৬:৫২

ইটভাটা নিয়ে তথ্যগোপন করে রিট করায় রিটকারীকে বিবাদীর খরচা হিসেবে ২০ হাজার দিতে হবে

ঢাকা, ২০ জুন, ২০২৩ (বাসস) : কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জুগিরকান্দি এলাকায় স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস অবৈধ দাবী করে আনা রিট পিটিশনে তথ্য গোপন করায় বিবাদীকে খরচা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিবেন রিট পিটিশনার।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত রিটে ইতোপূর্বে জারি করা রুল খারিজের আর্জি জানিয়ে আনা আবদেনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেন। আবদেনটি দাখিল করেন রিট পিটিশনের অন্যতম বিবাদী মেসার্স নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ নাদিম।
আবদেনকারী মোঃ নাদিমের আইনজীবী এডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। 
তিনি বলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জুগিরকান্দি এলাকায় স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস অবৈধ দাবী করে সেখানকার বাসিন্দা আবদুল কাদের হাইকোর্টে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন। রিটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, মেসার্স নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: নাদিমসহ মোট ১০ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়। 
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে আদালত জুগিরকান্দি গ্রামে অবৈধ ও অননোমুদিত ইটভাটা অপসারণের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না- রুলে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চায়। পাশাপাশি আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জুগিরকান্দি গ্রামে স্থাপিত অবৈধ ও অননোমুদিত ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছিল।
এডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা বলেন, আদালতের আদেশ অবহিত হয়ে জুগিরকান্দি গ্রামে স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: নাদিম আদালতে রুল খারিজের আবদেনটি দাখিল করেন। মেসার্স নিহা ব্রিকস এর হালনাগাদ পরিবেশ ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের দেয়া ইট পোড়ানোর লাইসেন্সসহ সকল প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র যথাযথ থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে রিটটি করা হয় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা জানান, আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ইতোপূর্বে জারি করা রুল খারিজের (ডিসচার্জ) আদেশ দেন। পাশাপাশি রিটকারীকে বিবাদী মো: নাদিমের অনুকুলে খরচা হিসেবে ২০ হাজার টাকা ৩০ দিনের মধ্যে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। 
আবদেনকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এ কিউ এম সোহেল রানা ও দিদারুল আলম। রিট পিটিশনের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী।