বাসস
  ২১ জুন ২০২৩, ১০:১৪

গাজীপুরে কোরবানির জন্য ৮৫ হাজার ২৩৭টি পশু প্রস্তুত

গাজীপুর, ২১ জুন, ২০২৩ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ২৯ জুন। আর মাত্র ৯ দিন বাকি আছে। ইতোমধ্যে কোরবানির জন্য পশু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে দেশের প্রায় সব স্থানে। এ বছর গাজীপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে ৮৫ হাজার ২৩৭টি পশু। তবে, তা চাহিদার তুলনায় ৯৩ হাজার ৫০৫টি কম বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।
এদিকে গাজীপুর জেলার ৭ হাজার ১৫২টি খামারে হৃষ্ট-পুষ্ট কোরবানির যোগ্য পশু তৈরি করা হয়েছে। এসব খামারের খামারিরা বলছেন, ভারত থেকে পশু দেশে প্রবেশ করতে না পরলে ভালো দাম পাবেন তারা। জেলায় পশু বিক্রির জন্য হাট নির্ধারণ রয়েছে ৬৮টি। এসব হাটে বিক্রির জন্য আসা পশুগুলোর চিকিৎসার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ৬২টি মেডিকেল মনিটরিং টিম কাজ করবে।   
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে ৮৫ হাজার ২৩৭টি বিভিন্ন প্রকারের পশু। এরমধ্যে ষাঁড় রয়েছে ৩৩ হাজার ৩৩১টি, বলদ ৪ হাজার ৮৫০টি, গাভি ১২ হাজার ৬১টি, মহিষ ১ হাজার ৬০টি, ছাগল ২৯ হাজার ৬৩৩টি, ভেড়া ৩ হাজার ৫৭০টি এবং অন্য পশু রয়েছে ২৬ টি। এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টি। ঘাটতি রয়েছে ৯৩ হাজার ৫০৫টি।  
গাজীপুর সদরে পশু প্রস্তুত রয়েছে ৮,৬৪৭টি। এখানে কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৫০ হাজার পশুর। ঘাটতি ৪১,৩৫৩টি। কালিয়াকৈরে প্রস্তুত রয়েছে ১২ হাজার ৪০৩ টি পশু। সেখানে চাহিদা রয়েছে ২৮ হাজার ৮২৮টি এবং ঘাটতি ১৬ হাজার ৪২৫টি পশুর। শ্রীপুরে প্রস্তুত ১৮ হাজার ৫৩৬টি পশু। সেখানে চাহিদা রয়েছে ৪৭ হাজার ৯০০ এবং ঘাটতি ২৯ হাজার ৩৬৪টি পশুর। কাপাসিয়ায় প্রস্তুত ২১ হাজার ২৯৪টি পশু। সেখানে চাহিদা রয়েছে ২২ হাজার ৫১৪টি এবং ঘাটতি ১ হাজার ২২০টি পশুর। এছাড়া কালীগঞ্জে প্রস্তুত ২৪ হাজার ৩৫৭টি কোরবানি যোগ্য পশু। সেখানে চাহিদা ২৯ হাজার ৫০০টি এবং ঘাটতি ৫ হাজার ১৪৩টি পশুর। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে গাজীপুরে ৮৯ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল।  
অয়ন এগ্রো ফার্মের মালিক আকরাম হোসেন বাসসকে বলেন, ‘মায়ের শখ ছিল গরুর খামার করার। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতেই খামার করেছি। এখন এটা পেশা হিসেবে নিয়েছি। আমি আশা করছি খামার থেকেই সব গরু বিক্রি করতে পারবো। প্রকৃতিক উপায়ে ঘাষ ও খড় খাওয়াই গরুদের। আমাদের খামারে রয়েছে সব দেশি গরু। তাই সবার উচিত খামার থেকেই পশু ক্রয় করা। তিনি বলেন, ভারত থেকে যে গরু আসে সেগুলো বোল্ডার। ভারতের গরু যদি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ না করে তাহলে খামারিরা লাভবান হবেন।
ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, গাজীপুরে খামারগুলোতে পশু প্রকৃতিক উপায়ে লালন পালন করা হয়। আমরা এসব খামার থেকেই কোরবানির জন্য গরু কিনে থাকি। বেশ কয়েকটি খামার ঘুরে পশু দেখে রেখেছি। এবারও কোরবানির পশু খামার থেকেই কিনবো।
গাজীপুর জেলা অতিরিক্ত  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লিপি রানী বসাক বাসসকে বলেন, আমাদের যে পাঁচটি উপজেলা রয়েছে সেখানে প্রত্যেকটি খামারিদের সঙ্গে কথা বলেছি যেন তারা পশু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার না করেন। এছাড়াও কোরবানি উপলক্ষে যারা মাংস প্রস্তুত করেন তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, ভেটেনারি সার্জন নিয়মিত খামারিদের সঙ্গে কথা বলেছেন, মনিটরিং করেছেন।