শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ২১ জুন, ২০২৩ (বাসস) : জেলার রামগতি উপজেলায় শ্বাসরোধ করে মাসু বেগমকে (২৫) হত্যার দায়ে তার স্বামী কামাল হোসেনকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
রায়ে একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামি কামাল পলাতক রয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী কামাল রামগতি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর সেকান্দর গ্রামের মৃত আবদুল মালেক মাঝির ছেলে। খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছে- কামালের বোন নাজমা বেগম (৩৩), মা আয়েশা বেগম (৬৩) ও ভাই মো. বাবুল (৩৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ভিকটিম মাসু লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের মৃত আবুল কালামের মেয়ে। ২০১৩ সালে মাসুর সঙ্গে কামালের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তাহছিন ও তাহমিন নামে দুই ছেলে রয়েছে। এরমধ্যে কামাল আরও দুই বিয়ে করেন। এতে মাসুর সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এতে কামাল তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এনিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। ২০২০ সালের ১২ আগস্ট বিকেলে মাসু তার শশুর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল গিয়ে কাউকে পায়নি মাসুর স্বজনরা। শিশু তাহছিন ও তাহমিনকে মায়ের লাশের পাশে রেখে সবাই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মাসুকে হত্যার করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যায়। এতে একই বছরের ২৩ অক্টোবর মাসুর মা বিবি ছায়েরা (৫৮) বাদি হয়ে রামগতি থানায় কামালসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান তপাদার ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে কামাল, তার মা আয়েশা বেগম, বোন নাজমা বেগম ও ভাই মো. বাবুলকে অভিযুক্ত করা হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।