বাসস
  ২২ জুন ২০২৩, ১০:০৪

গোপালগঞ্জে ১০ হাজার প্রান্তিক কৃষক পাচ্ছেন ধানবীজ-সার

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২২ জুন, ২০২৩ (বাসস) : ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পাচ্ছেন প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায়  বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের বীজ ও ২ প্রকার সার ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার ৫ উপজেলার ১০ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে   ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের বীজ ও ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার  বিতরণ করা হবে। এ বীজ ও সার দিয়ে জেলার ১০ হাজার কৃষক ১০ হাজার বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন,  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ হাজার ৪০০ কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলার ২ হাজার কৃষক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২ হাজার কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলার ১ হাজার ৮০০ কৃষক ও মুকসুদপুর উপজেলার ১ হাজার ৮০০ কৃষক প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ফলনশীল আমন ধানের বীজ ও ডিএপি এবং এমওপি সার পাবেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইতি মধ্যে কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর ও মুকসুদপুর উপজেলায় এসব ধানবীজ ও সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য উপজেলাতেও দ্রুত বীজ ও সার বিতরণ সম্পন্ন করা হবে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবহুল এ দেশের কৃষি উৎপাদন ঠিক রাখতে কৃষিতে সর্বোচ্চ ভর্তৃকি দিচ্ছেন। সেই সাথে কৃষককে প্রণোদনা দিয়ে ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। উৎপাদন বৃদ্ধির  ারা আমরা অব্যাহত রাখব। তা হলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাফরোজা আক্তার  বলেন, এ বছর আমরা সদর উপজেলার ২ হাজার ৪ কৃষাণ -কৃষাণীর  মাঝে ৫ কেজি করো রোপা আমন ধানের বীজ ও ১০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার বিতরণ করেছি। এ সার ও বীজ দিয়ে কৃষক ২ হাজার ৪০০ বিঘা জমি চাষাবাদ করতে পারবেন। উচ্চ ফলনশীল এ ধান বোরো মৌসুমের মতোই ফলন দেবে। এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।  
কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই শেখ বলেন, বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ ও সার পেয়ে বোরো আবাদ করেছিলাম। বোরো ধানে ফলন খুবই ভালো হয়েছিল। এখন আবার সেই জমিতে আমন ধানের চাষ করবো। বিনামূল্যে সার বীজ না পেলে আমাদের পক্ষে এভাবে জমিতে দুবার ধানের আবাদ করা সম্ভব হতো না। আশা করছি আমনেও বাম্পার ফলন  পাব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, এ বছর আমরা উপজেলার ২হাজাক  কৃষাণ কৃষাণীর মাঝে ৫ কেজি করো রোপা আমন ধানের বীজ ও ২০ কেজি করে সার বিতরণ করেছি। গত বছর ১হাজার জনের মাঝে বিতরণ করেছিলাম। ফলন ভালো হওয়া ও এ বছর ১হাজার জন কৃষাণ কৃষাণীর জন্য বীজ ও সার বেশী পেয়েছি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক  শেখ মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, বিনামূল্যে ৫ কেজি উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছি। এ বীজ ও সার দিয়ে ১ বিঘা জমি আবাদ করব। এরআগে  প্রণোদনা বীজ সার পেয়ে বোরাধান আবাদ করেছিলাম। বোরো ধানে বাম্পার ফলন পেয়েছি। এখন আবার সেই জমিতে আমন ধানের চাষ করবো। বিনামূল্যে সার বীজ পেয়েছি। তাই  জমিতে দুবার ধানের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। আশা করছি আমনের ফলনও ভালো হবে। এ ভাবে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমরা লাভবান হব। পাশাপাশি দেশ ধান উৎপাদনে সমৃদ্ধ হবে।