বাসস
  ২৩ জুন ২০২৩, ০৯:৪১

নড়াইলে চাহিদার চেয়েও ২৩ হাজার বেশি কোরবানির পশু রয়েছে

॥ সুলতান মাহমুদ ॥
নড়াইল, ২৩ জুন, ২০২৩(বাসস): আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলার ৩ উপজেলায় কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। এ জেলায় কোরবানির জন্য ৫৪ হাজার ৮৯০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- জেলায়  চাহিদার তুলনায় কোরবানির জন্য ২৩ হাজার বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত এ পশু জেলার বাইরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন খামারিরা।
জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের তিন উপজেলায় কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটা-তাজা করা হচ্ছে ৫৪ হাজার ৮৯০ টি পশু। এর মধ্যে গরু ১৯ হাজার ৬৯৮ টি, ছাগল ৩৫ হাজার ১০৩টি, ভেঁড়া ৮৯ টি।
বাড়তি লাভের আশায় খামারিদের পাশাপাশি বাড়িতে পশু পালন করছেন কৃষকরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে এখানকার প্রায় ২৩ হাজার উদ্বৃত্ত পশু। এ জেলায় ৪ হাজার ৫৯৯ টি ছোট-বড় খামারি ও কৃষক বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন করছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় খামারির সংখ্যা ১হাজার ৫২৫টি, লোহাগড়া উপজেলায় ১হাজার ৬৪৩টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১হাজার ৪৩১টি। এসব খামারে কোরবানির জন্য ৫৪ হাজার ৮৯০ টি পশু প্রস্তুত করা হলেও জেলায় চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ১১৫টি পশুর। এর মধ্যে সদর উপজেলায়
কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১০হাজার ১০২টি পশু,লোহাগড়া উপজেলায় ১৪ হাজার ১২১টি পশু এবং কালিয়া উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৭ হাজার ৮৯২টি পশু। এই চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২৩ হাজার পশু রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাবে।
এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনও ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে জানান- সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। এ বছর জেলায় ২৫২ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
কৃষক ও খামারিরা জানিয়েছেন, কেউ বাড়িতে আবার কেউ খামারে এসব পশু মোটা-তাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটা তাজা করছেন তারা।খড়ের পাশাপাশি খৈল, গমের ভুসি, ভূট্টার গুড়া, ধানের কুঁড়া, মুগের ভূষি, খড় ও বুটের খোসা খাওয়ায় অনেকে। কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।
সদর উপজেলার চারিখাদা গ্রামের ওয়ালিউর রহমান জানান, তার খামারে দেশি-বিদেশি মিলে ১০টি ষাঁড় মোটাতাজা করা হচ্ছে। তার খামারে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার পশু আছে বলে জানান।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. আবু তালেব বলেন, কোরবানি সামনে রেখে প্রতি উপজেলার খামার পরিদর্শন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিচ্ছি আমরা। জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট
মাইজপাড়াসহ ৩ উপজেলায় মোট ৬টি স্থায়ী পশুর হাটে পশু বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ২-৩টি অস্থায়ী হাট বসতে পারে বলে তিনি জানান।