শিরোনাম
যশোর, ২৫ জুন, ২০২৩ (বাসস) : ঈদুল আযহায় যশোরের ২০টি পশুর হাটে গরু-ছাগল বেচাকেনায় শেষ মুহূর্তে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। হাটে আসা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার আটটি উপজেলায় মোট ২০টি বৈধ পশুহাট বসছে। এসব হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় চারটি পশু হাটের মধ্যে বসবে তিনটি। রুপদিয়ায় এবার হাট বসবে না। ঝিকরগাছায় দুটি, শার্শায় দুটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি হাট বসবে। সদর উপজেলার তিনটি হাট হলো, বারীনগর, নিউমার্কেট ও কোদালিয়া গ্রামে।
রোববার ও বৃহস্পতিবার বারীনগর, সোমবার নিউমার্কেট ( উপশহর) এবং সোমবার কোদালিয়া গ্রামে পশুহাট বসবে। ঝিকরগাছা উপজেলার দুটি হাট হলো, ঝিকরগাছা বাজার ও ছুটিপুর। বৃহস্পতি ও রোববার ঝিকরগাছা এবং সোমবার ছুটিপুরের হাট বসছে। শার্শার দুটি হাট হলো, নাভারণ ও সাতমাইল। বুধবার নাভারণ এবং শনি ও মঙ্গলবার সাতমাইলের হাট বসে। মণিরামপুরের তিনটি হাট হলো, মণিরামপুর, রাজগঞ্জ ও নেহালপুর। শনি ও মঙ্গলবার মণিরামপুর বাজারে, রাজগঞ্জ এবং নেহালপুরে পশুহাট সোম ও বৃহস্পতিবার বসে। মনিরামপুর বাজারে হাট বসবে শনি ও মঙ্গলবার।
কেশবপুরের দুটি হাট হচ্ছে, কেশবপুর ও সরসকাটি। সোম ও বুধবার কেশবপুর এবং রোববার সরসকাটির পশুহাট বসে। অভয়নগরের তিনটি হাট হচ্ছে, নওয়াপাড়া পৌরসভা, মরিচা ও নাওলি। শনি ও মঙ্গলবার নওয়াপাড়া ও বুধবার মরিচা হাট বসবে। ঈদের আগের দিন বসবে নাওলি হাট। বাঘারপাড়ার চারটি হাট হচ্ছে, চাড়াভিটা, ভাংগুড়া, নারিকেলবাড়িয়া ও খাজুরা ভাটার আমতলা। বুধবার চাড়াভিটা, সোমবার ভাংগুড়া, মঙ্গলবার নারিকেলবাড়িয়া এবং রোববার খাজুরা ভাটার আমতলায় পশুহাট বসে। চৌগাছার একটি হাট হচ্ছে পৌরসভার কংশারীপুর। এখানে সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার হাট বসে।
জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানিয়েছেন, সর্বশেষ সংগ্রহকৃত তালিকা অনুযায়ী ঈদুল আযহা উপলক্ষে এ বছর যশোরে ১ লাখ ৫হাজার পশু মজুদ আছে। এরমধ্যে বলদ,গাভী ও মহিষ ৩৯ হাজার। ছাগল ও ভেড়া ৬৬ হাজার।