শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ জুন, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে টিকে থাকতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করেই স্বাধীনতার পরেই প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর মাত্র ৭শ’ কোটি টাকার বাজেটের সময়ও শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে বঙ্গবন্ধু কার্পণ্য করেন নি।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির পর গুণগতমান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদানেও সাফল্য অর্জন করতে হবে। আর তা না হলে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাংখিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে না।
তাজুল ইসলাম রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে "প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ: স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও করণীয়" শীর্ষক এক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার এমপি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি কাউন্সেলর ইউরাতে স্মলস্কাইট মার্ভিল, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি এডুকেশন এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট টীম প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাদিয়া রশীদ, ব্রাকের শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম হেড সমীর রঞ্জন নাথ, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের এডুকেশন গ্লোবাল প্র্যাকটিসের জ্যৈষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সাঈদ রাশেদ আল জায়েদ যশ।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
তাজুল ইসলাম শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে বলেন, শিক্ষকদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের সম্মান অর্জন করতে হবে এবং নেতিবাচক পথ পরিহার করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। তবে ইউনিয়ন পরিষদকে স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে যুক্ত করার বিষয়টি নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।