শিরোনাম
সংসদ ভবন, ২৫ জুন, ২০২৩ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে। যেন কোনো ধরনের উন্মাদনা, সন্ত্রাসী তৎপরতা বা আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘিœত না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহু উদ্যোগ নিয়েছে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে দেশের অসামান্য অর্জন ভেস্তে যাবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যে সব দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণও সুখী। আর যে সব দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার জনগণও কষ্টে রয়েছে।
নির্বাচন ইস্যুতে গুজবে কান না দিতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুষ্টু লোকের বাংলাদেশের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। এ কারণে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে অগ্রসর করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বন্ধুদের বলবো, সাবধান, দেশ ধ্বংস হলে আপনাদেরও ক্ষতি হবে।’
ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো ধরনের প্ররোচনা বা কোনো তাগিদে দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করবো। গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। এগুলোর প্রতিটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে। জনগণ সরকারের শক্তি উল্লেখ করে তিনি দেশবিরোধী কুচক্রী মহলকে রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
জনগণের উদ্দেশে ড. মোমেন বলেন, ‘বারবার প্রমাণ করেছেন কোনো বিদেশি শক্তির কাছে আপনারা পরাজিত হননি। এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে এক হয়ে দেশি-বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রাখবেন।’
দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আরও দক্ষ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হয়। এতে ব্যয় বাড়ে সরকারের। তাই প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে আরও বেশি তদারকি প্রয়োজন।